ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবককে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন (২৩) নামের এক যুবককে অপহরণের ২৫ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজনের নাম – সেজান আলী ও মুরাদ। গ্রেপ্তার নারীর নাম জানায়নি পুলিশ।

২৩ বছর বয়সী নিহত মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও এর চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে তিনি।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সেহরির সময় সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকায় অপহরণকারী সেজান আলীর বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে মিলনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর জানাজানি হলে ভোরে বিক্ষুব্ধ জনতা অপহরণকারী সেজানের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে জানিয়ে মিলনের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।

ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, বুধবার রাতে মিলনকে অপহরণে ঘটনায় আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তাদের দেখানো মতে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এছাড়াও পরে বৃহস্পতিবার একটি মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজপড়ুয়া মিলনকে অপহরণ করে একটি চক্র। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি ৫ লাখ দাবি করে। পরদিন আরও বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পরে ১৫ লাখ চায় চক্রটি। সবশেষে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। রোববার (৯ মার্চ) রাতে জায়গাজমি সব বিক্রি করে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেয় অপহৃত মিলনের বাবা পানজাব আলী।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবককে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

আপডেট সময় ১০:৫৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন (২৩) নামের এক যুবককে অপহরণের ২৫ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজনের নাম – সেজান আলী ও মুরাদ। গ্রেপ্তার নারীর নাম জানায়নি পুলিশ।

২৩ বছর বয়সী নিহত মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও এর চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে তিনি।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সেহরির সময় সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকায় অপহরণকারী সেজান আলীর বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে মিলনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর জানাজানি হলে ভোরে বিক্ষুব্ধ জনতা অপহরণকারী সেজানের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে জানিয়ে মিলনের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।

ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, বুধবার রাতে মিলনকে অপহরণে ঘটনায় আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তাদের দেখানো মতে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এছাড়াও পরে বৃহস্পতিবার একটি মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজপড়ুয়া মিলনকে অপহরণ করে একটি চক্র। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি ৫ লাখ দাবি করে। পরদিন আরও বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পরে ১৫ লাখ চায় চক্রটি। সবশেষে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। রোববার (৯ মার্চ) রাতে জায়গাজমি সব বিক্রি করে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেয় অপহৃত মিলনের বাবা পানজাব আলী।