অনলাইন সংবাদ-
রাজধানীর বুকেই গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক বাড়ি। লাখ লাখ ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বাড়িটি। বর্তমানে পর্যটকদের কাছে স্বপ্নের ঠিকানা। ছুটির দিনগুলোসহ বর্তমানে সব সময়ই সেখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। ঠিকানা ডে আউটার্স তৈরি করা হয়েছে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়ির নান্দনিক কারুকার্যে। ঠিকানায় প্রবেশের মূল ফটক থেকে শুরু করে পুরো স্থানেই পাবেন গ্রামীণ শৈল্পিক ছোঁয়া, আকাশ ও প্রকৃতির নানা সময়ে নানা রং ও রূপ।
ফুল দেখতে আসার পাশাপাশি এখানে সময় কাটাতে আগ্রহ দেখাতে শুরু করে মানুষ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ঠিকানা থেকে সূর্যদয় এমনকি সূর্যাস্ত দেখার জন্যও অনেকেই এ স্থানে ভিড় জমান। অতীতের তুলনায় বাড়িটির পরিধি বাড়ানো হয়। বাড়ির পাশে কাঠের পাটাতনের বিশাল জায়গা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।এ অংশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘খোলা আকাশ’। জানেন কি, পুরো ঠিকানায় প্রায় ৭ লাখ ফুল দিয়ে সাজিয়েছেন উদ্যোক্তা আফরিন তাইয়্যেবা।
এ বাড়ির সামনে আছে বিশাল আমবাগান ও সবুজ চাদরে মোড়ানো মাঠ। ঠিকানার রেস্টুরেন্টে যেসব খাবার তৈরি হয়, তার বেশিরভাগই এ মাঠের শাক-সবজি দিয়ে। মাটির চুলায় রান্না করা খাবারও আপনি সেখানে খেতে পারবেন। দেশীয় খাবারের পাশাপাশি ঠিকানায় বিভিন্ন বিদেশি খাবারের সেট মেন্যু পাবেন। পছন্দমতো খাবার বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ঠিকানাতে আছে উন্নতমানের কফিশপ। যেখানে সুদূর ব্রাজিল থেকে বিন এনে কফি তৈরি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী অগ্রিম টেবিল বুকিং করে পছন্দমতো খাবার খেতে আসতে পারবেন এ ঠিকানায়। ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আপনি ঠিকানায় সময় কাটাতে পারবেন। মাত্র ৩০০ টাকা প্রবেশমূল্য দিয়ে ঠিকানায় ঢুকে আপনি পেতে পারেন নৈস্বর্গিক অনুভূতি।
তবে ঠিকানার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খেলে প্রবেশমূল্য দেওয়া লাগবে না। বাইরের খাবার সঙ্গে নিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই। সেখানে প্রকৃতির কোলে নিরিবিলি টেবিলে বসে খাবার খাওয়া ব্যবস্থাও আছে। ঠিকানার চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত বাহারি রঙা ফুল দেখে আপনার মন মুহূর্তেই ভালো হয়ে যাবে।
কীভাবে যাবেন ঠিকানায়?
ঠিকানা ডে আউটার্স গুলশান থেকে ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাড্ডার বেরাইদ বালু নদীর পাড়ে দৃষ্টিনন্দন কাঠের বাড়িতে ঘুরতে যেতে পারেন সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।
সূত্রমতে,আপনার প্রবেশ বুকিং নিশ্চিত করতে (কমপক্ষে ১ দিন আগে)। বুকিং ছাড়া ঠিকানায় প্রবেশ নিশ্চিত হবেনা।