ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোলাম আজম যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায় বললেন মির্জা আব্বাস হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল জানান বড় ভাই ওমর ফারুক আওয়ামী লীগ ৩ বার ক্ষমতায় এসে কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বললেন জামায়াত আমির মওলানা ভাসানী- ওসমান হাদির ছবি ধানমন্ডি বত্রিশে টাঙানো হলো লাখো নেতাকর্মীর ঢল জামায়াতের যুব ম্যারাথনে নতুন ধারায় রাজনীতি শুরু করতে চাই বললেন জামায়াত আমির জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল,বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল পুরোনো বিমানবন্দরে প্রতিপক্ষ পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে বললেন রিজওয়ানা হাসান নতুন মুক্তিযোদ্ধা ৮৪,২৮ জনের নাম মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী তালিকায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ফেনী পল্লী বিদ্যুতের ৫৬৯ কর্মীগণছুটিতে, গ্রাহকের ভোগান্তি

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও সাব-স্টেশনে কর্মরত ৫৭৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৫৬৯ গণছুটিতে গেছেন। তার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ১১৭ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলা জোনাল অফিসে ৮৫ জনের মধ্যে ৭০ জন, দাগনভূঞা উপজেলা জোনাল অফিসে ৭৪ জনের মধ্যে ৬৭ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৪১ জনের মধ্যে ৩৯ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৪৯ জনের মধ্যে ৪৩ জন ও সোনাগাজীতে ৭৫ জনের মধ্যে ৬৮ জন গণছুটিতে রয়েছেন।

এদিকে ফুলগাজীতে দুই দিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। পরে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর  হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরের বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, রোববার থেকেই বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। অভিযোগ জানাতে গেলে দেখি অফিসে তালা ঝুলছে। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে, তা কিছুই বুঝতে পারছি না।

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মো. নাহিদ বলেন, রোববার দিবাগত রাত ৪টা থেকে সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এদিন রাত ৯টার পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের জরুরি সেবার মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের পোল্ট্রি খামারি মো. রফিক বলেন, বিদ্যুৎ আমাদের খামারিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়। বর্তমানে লম্বা সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্রুত এ সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর হয়নি কিছুই। দাবি আদায় না হলে আমরা কাজে ফিরব না। তবে জনভোগান্তি আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

ফেনী সদর উপজেলার কসকা জোনাল অফিসের এজিএম কামরুল হাসান বলেন, এ অফিসে ৪০ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৫ জন ছুটির আবেদন ফরম দিয়ে গণছুটিতে গেছেন। বাকি ৫ জন কর্মচারী দিয়ে ৩২ হাজার গ্রাহকের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সদর উপজেলা লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর ও মিরগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যার কথা জানালেও জনবল না থাকায় সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, জেলার ছয় উপজেলার জোনাল অফিসসহ বিভিন্ন সাব-স্টেশন অফিসে কর্মরত ৫৭৯ জনের মধ্যে ৫৬৯ আবেদন ফরম জমা দিয়ে গণছুটিতে গেছেন। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে বর্তমানে ফুলগাজীতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মেরামত কাজে বিলম্ব হচ্ছে। গণছুটিতে যাওয়া কর্মীদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে কাজে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

কর্মরতদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তদের পুনর্বহাল, ২. অব্যবস্থাপনার অবসান, ৩. বদলির নামে হয়রানি বন্ধ, ৪. দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোলাম আজম যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায় বললেন মির্জা আব্বাস

ফেনী পল্লী বিদ্যুতের ৫৬৯ কর্মীগণছুটিতে, গ্রাহকের ভোগান্তি

আপডেট সময় ০৯:৪৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও সাব-স্টেশনে কর্মরত ৫৭৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৫৬৯ গণছুটিতে গেছেন। তার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ১১৭ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলা জোনাল অফিসে ৮৫ জনের মধ্যে ৭০ জন, দাগনভূঞা উপজেলা জোনাল অফিসে ৭৪ জনের মধ্যে ৬৭ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৪১ জনের মধ্যে ৩৯ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৪৯ জনের মধ্যে ৪৩ জন ও সোনাগাজীতে ৭৫ জনের মধ্যে ৬৮ জন গণছুটিতে রয়েছেন।

এদিকে ফুলগাজীতে দুই দিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। পরে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর  হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরের বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, রোববার থেকেই বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। অভিযোগ জানাতে গেলে দেখি অফিসে তালা ঝুলছে। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে, তা কিছুই বুঝতে পারছি না।

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর গ্রামের মো. নাহিদ বলেন, রোববার দিবাগত রাত ৪টা থেকে সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এদিন রাত ৯টার পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের জরুরি সেবার মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের পোল্ট্রি খামারি মো. রফিক বলেন, বিদ্যুৎ আমাদের খামারিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়। বর্তমানে লম্বা সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্রুত এ সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর হয়নি কিছুই। দাবি আদায় না হলে আমরা কাজে ফিরব না। তবে জনভোগান্তি আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

ফেনী সদর উপজেলার কসকা জোনাল অফিসের এজিএম কামরুল হাসান বলেন, এ অফিসে ৪০ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৫ জন ছুটির আবেদন ফরম দিয়ে গণছুটিতে গেছেন। বাকি ৫ জন কর্মচারী দিয়ে ৩২ হাজার গ্রাহকের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সদর উপজেলা লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর ও মিরগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যার কথা জানালেও জনবল না থাকায় সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, জেলার ছয় উপজেলার জোনাল অফিসসহ বিভিন্ন সাব-স্টেশন অফিসে কর্মরত ৫৭৯ জনের মধ্যে ৫৬৯ আবেদন ফরম জমা দিয়ে গণছুটিতে গেছেন। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে বর্তমানে ফুলগাজীতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মেরামত কাজে বিলম্ব হচ্ছে। গণছুটিতে যাওয়া কর্মীদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে কাজে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

কর্মরতদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তদের পুনর্বহাল, ২. অব্যবস্থাপনার অবসান, ৩. বদলির নামে হয়রানি বন্ধ, ৪. দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।