মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে মাত্র ৫০০ টাকা না পেয়ে আপন বড় ভাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাকেটে হত্যার মতো মর্মান্তিক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ছোট ভাইয়ের (১৬) সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
ঘটনার তিনদিন পর আজসোমবার (১১ আগস্ট) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নোবেল চাকমা।তিনি জানান, গত ৮ আগস্ট রাতে পারিবারিক কলহের জেরে নিহত আব্দুর রাহিম রাফির (২৪) ছোট ভাই তার কাছে পাঁচশো টাকা চায়। রাফি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করলে তার ভাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরদিন ৯ আগস্ট সকালে বাড়িতে মা ও ভাইয়ের স্ত্রী অনুপস্থিত থাকার সুযোগে অভিযুক্ত কিশোর তার ঘুমন্ত বড় ভাইয়ের ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচ থেকে একটি দা বের করে। এরপর ঘাড়ে উপর্যুপরি কোপ দিয়ে তাকে হত্যা করে।
নোবেল চাকমা আরও জানান, খুনের পর খুনি দা’টি বেসিনে ধুয়ে আগের জায়গায় রেখে দেয় এবং রক্তমাখা লুঙ্গি খাটের নিচে গুঁজে রাখে। ঘটনার পরদিন নিহতের মা মনোয়ারা বেগম কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে নানা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রাফির ছোট ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুর রাহিম রাফি প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিল। এ নিয়ে দেবর-ভাবি এবং ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি ছিল।
এই নৃশংস ঘটনায় এলাকায় শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত কিশোরকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।