ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ডিবিতে হস্তান্তর ওসমান হাদীকে গুলির ঘটনায় মামলা বিকেলে আদালতে তোলা হবে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল মঙ্গলবার বিদেশে হাদির চিকিৎসার খরচ দেবে সরকার বললেন অর্থ উপদেষ্টা আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বললেন ডিবি প্রধান মাঝেমধ্যে দু’একটা খুন-খারাবি হয়, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা— হাদি প্রসঙ্গে: সিইসি বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে রেকর্ডসংখ্যক ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হাদিকে নিতে , দুপুরে ছাড়বে ঢাকা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা, জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি সুদানকে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বনবিভাগের চিরুনি অভিযান:সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ ঠেকাতে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ, অবৈধ মৎস্য আহরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বনবিভাগ বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। শুরু হওয়া এ অভিযানে সুন্দরবনের বিভিন্ন অভয়ারণ্য, খাল ও নদীতে টহল দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বনবিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু চক্র অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে। আবার কেউ কেউ বিষ প্রয়োগ ও জাল ফেলে মাছ আহরণ করছে। এ ছাড়া বনাঞ্চলের ভেতরে ঢুকে বন্যপ্রাণী শিকার করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম ও অপরাধ বন্ধ করতেই এ বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

অভিযান চলাকালে বনরক্ষীরা সন্দেহভাজন নৌকা ও জাল বাজেয়াপ্ত করছে। বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। আটক কিছু জেলেকে বন আইনের আওতায় মামলাও দেয়া হয়েছে।

পশ্চিম বনবিভাগের আওতাধীন বুড়িগোয়ালিনী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা অভিযোগ করেন, সুন্দরবনের বেশিরভাগ ক্ষতির কারণ কিছু দালাল চক্র ও কোম্পানি। তাদের সাহসে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে কিছু জেলে।

স্থানীয়দের দাবি, সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখতে হলে এসব দালাল ও কোম্পানিকে অপসারণ করতে হবে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর এলাকার এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘কিছু অসাধু কোম্পানি ও জেলের কারণে নিরীহ জেলেদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অবৈধ ব্যবসায়ী ও অনুপ্রবেশকারী জেলেদের আটক করে আইনের আওতায় আনা উচিত।’

পশ্চিম বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত সরকারি বন সংরক্ষক ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে, যেন তারা বৈধ পাসপারমিট ছাড়া সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এবং ক্ষতিকর পদ্ধতিতে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকে।

স্থানীয় সচেতন মহল বনবিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চালানো হলে সুন্দরবনের সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষিত থাকবে।
 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিবিতে হস্তান্তর ওসমান হাদীকে গুলির ঘটনায় মামলা

বনবিভাগের চিরুনি অভিযান:সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ ঠেকাতে

আপডেট সময় ০২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ, অবৈধ মৎস্য আহরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বনবিভাগ বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। শুরু হওয়া এ অভিযানে সুন্দরবনের বিভিন্ন অভয়ারণ্য, খাল ও নদীতে টহল দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বনবিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু চক্র অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে। আবার কেউ কেউ বিষ প্রয়োগ ও জাল ফেলে মাছ আহরণ করছে। এ ছাড়া বনাঞ্চলের ভেতরে ঢুকে বন্যপ্রাণী শিকার করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম ও অপরাধ বন্ধ করতেই এ বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

অভিযান চলাকালে বনরক্ষীরা সন্দেহভাজন নৌকা ও জাল বাজেয়াপ্ত করছে। বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। আটক কিছু জেলেকে বন আইনের আওতায় মামলাও দেয়া হয়েছে।

পশ্চিম বনবিভাগের আওতাধীন বুড়িগোয়ালিনী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা অভিযোগ করেন, সুন্দরবনের বেশিরভাগ ক্ষতির কারণ কিছু দালাল চক্র ও কোম্পানি। তাদের সাহসে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে কিছু জেলে।

স্থানীয়দের দাবি, সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখতে হলে এসব দালাল ও কোম্পানিকে অপসারণ করতে হবে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর এলাকার এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘কিছু অসাধু কোম্পানি ও জেলের কারণে নিরীহ জেলেদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অবৈধ ব্যবসায়ী ও অনুপ্রবেশকারী জেলেদের আটক করে আইনের আওতায় আনা উচিত।’

পশ্চিম বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত সরকারি বন সংরক্ষক ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে, যেন তারা বৈধ পাসপারমিট ছাড়া সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এবং ক্ষতিকর পদ্ধতিতে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকে।

স্থানীয় সচেতন মহল বনবিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চালানো হলে সুন্দরবনের সম্পদ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষিত থাকবে।