শেষ পর্যন্ত আবারও লজ্জায় পড়তে হলো বসুন্ধরা কিংসকে। ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে। সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। আর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে আগামী মৌসুম পর্যন্ত। খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের তিনটি কার্যক্রমে বসুন্ধরা কিংস অংশগ্রহণ করতে পারবে না ফিফার ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফুটবলের গত মৌসুমে কিংসের কোচ ছিলেন রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে। সাফল্য না পাওয়ায় সেই কোচকে বিদায় করে কিংস। সঙ্গে তার পাওনা দেওয়া হয়নি বলে ভ্যালেরি তিতে ফিফায় অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ফিফাও বসুন্ধরা কিংসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। একই সঙ্গে কিংসের কাছে সময় বেধে দিয়েছিল ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত। অভিযোগকারীর কথা শোনার পর অভিযুক্তের কথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
গত ১৪ আগস্ট ঘরোয়া ফুটবল লিগের খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বরে লিগের মধ্যবর্তী দলবদল, ফিফার নিষেজ্ঞায় সেই দলবদলে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বসুন্ধরা কিংস। শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরের পরে আগামী মৌসুমের খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন এবং মধ্যবর্তী খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনেও অংশ নিতে পারবে না কিংস। কঠিন শাস্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
শুধু কোচ ভ্যালেরি তিতেই নয়, তার সহকারী হিসেবে ফ্রান্সের ট্রেইনার খলিল চকরৌন তার বকেয়া নিয়ে কিংসের বিরুদ্ধে ফিফায় অভিযোগ করেছিলেন। দুই কোচের অভিযোগ তারা তিন মাসের বেতন এবং বোনাস পাননি। না দিয়েই কিংস তাদেরকে বিদায় করে দিয়েছে। ভ্যালেরি তিতে ঢাকায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি নিজের টাকায় বিমান টিকিট কিনে দেশে ফিরেছেন।
ভ্যালেরি তিতে এখন ওমানের ক্লাব কোচিং করাচ্ছেন। আল সিব ক্লাবের কোচ হয়ে কাজ শুরু করেছেন। এই ক্লাবটি চ্যালেঞ্জ লিগে বসুন্ধরা কিংসের গ্রুপে পড়েছে। খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এখন খেলতে পারবে। ফিফার তালিকায় দেখা যায় নিষেধজ্ঞায় বসুন্ধরা কিংস ছাড়াও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ফেনির সকার ক্লাবের নাম রয়েছে।