ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বাংলাদেশি ইমামকে গুলি করে হত্যা সৌদিতে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাফেজ আল আমিন নামে এক মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সড়কের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

গত শুক্রবার (২১ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৌদি আরবের ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর জিজানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ আল আমিনের মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সৌদিতে অবস্থানরত তার ভগ্নিপতি নাজমুল ইসলাম তার পরিচয় শনাক্ত করেন। এরপর নাজমুল বিষয়টি বাংলাদেশে তার পরিবারকে জানান।

জানা গেছে, হাফেজ আল আমিন জিজানের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি তিনি বাসাবাড়িতে খাবার সরবরাহের কাজ করতেন। ঘটনার দিন তিনি তারাবির নামাজ শেষ করে খাবার ডেলিভারি দিতে বের হয়েছিলেন। এরপর ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আল আমিনের চোখ ও বুকসহ শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় সৌদি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো হত্যার কোনো কারণ এবং কারো জড়িত থাকার বিষয়ে জানা যায়নি।

নিহত হাফেজ আল আমিনের পরিবার তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশি ইমামকে গুলি করে হত্যা সৌদিতে

আপডেট সময় ১১:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাফেজ আল আমিন নামে এক মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সড়কের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

গত শুক্রবার (২১ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৌদি আরবের ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর জিজানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ আল আমিনের মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সৌদিতে অবস্থানরত তার ভগ্নিপতি নাজমুল ইসলাম তার পরিচয় শনাক্ত করেন। এরপর নাজমুল বিষয়টি বাংলাদেশে তার পরিবারকে জানান।

জানা গেছে, হাফেজ আল আমিন জিজানের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি তিনি বাসাবাড়িতে খাবার সরবরাহের কাজ করতেন। ঘটনার দিন তিনি তারাবির নামাজ শেষ করে খাবার ডেলিভারি দিতে বের হয়েছিলেন। এরপর ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আল আমিনের চোখ ও বুকসহ শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় সৌদি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো হত্যার কোনো কারণ এবং কারো জড়িত থাকার বিষয়ে জানা যায়নি।

নিহত হাফেজ আল আমিনের পরিবার তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।