আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে টাইগাররা ডুবেছে বিশাল হারের লজ্জায়। আফগানিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ৯৩ রানে।
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান সংগ্রহ করে। ইব্রাহিম জাদরান সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছিল আসা-যাওয়ার মিছিলে। সাইফ হাসানই শুধু দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছে। তার ৫৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসের পরও মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টাইগাররা শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ২৩ রান তুলতে।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এত খারাপ দলও না যতটা খারাপ খেলছি। এখানে যদি উন্নতি না করতে পারি আরও কঠিন হবে। ভুলগুলো যদি বারবার রিপিট করি তাহলে আরও কঠিন হবে আমাদের জন্য।’
প্রতি ম্যাচে একইভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে কোচিং স্টাফের ভূমিকা নিয়েও।
যার জবাবে মিরাজ বলেন, ‘সবাই কাজ করছে। ইচ্ছা করে কেউ খারাপ খেলে না। সবাই চেষ্টা করে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্যই। অনেক সময় অনেক কিছু পক্ষে আসে না। খারাপ সবাই একসাথেই খেলছি। যারাই ভালো করছে আউট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের স্কোরও ৩০-৩৫ করে আউট হচ্ছি। ব্যাটাররা এভাবে আউট হলে আমাদের জন্য কঠিন। বিশ্বাস রাখি, আমরা এতটা খারাপ দল না, যতটা খারাপ খেলছি।’
আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। আত্মবিশ্বাস তলানিতে টাইগারদের। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার ব্যাপারটা টের পাওয়া গেল মিরাজের পরের বক্তব্যে, ‘দেখেন দলটা অবশ্যই (সবার) একটু খারাপ লাগছে যেহেতু এই সিরিজ হেরেছি। এই ২ দিন যদি ফ্যামিলির সাথে সময় কাটায় মনে হয় আমরা ফ্রেশভাবে খেলতে পারব। আমার যেটা চাওয়া থাকবে, ব্যাটাররা যেখানে উন্নতি আনা দরকার, মানসিকভাবে শক্ত থাকা দরকার। কোচিং স্টাফরা আমাদের মানসিকভাবে অনেক সাপোর্ট দিচ্ছি। অধিনায়ক হিসেবে আমারও এই কাজটাই করা উচিত।’
দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। তবে মিরাজ ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যয়ের কথা জানালেন, ‘যদি ভালো ক্রিকেট খেলতাম ভালো লাগত। যেহেতু খেলিনি সবাইকে দায় নিতে হবে, অধিনায়ক হিসেবে আমাকেও দায় নিতে হবে। আমি আশা করছি আমাদের দল কামব্যাক করবে। আমি বিশ্বাস করি এবং দলকে সেভাবেই বুস্ট আপ করব। আশা করি দর্শকদের (সামনে) সেরকম ম্যাচ উপহার দিতে পারব।’
সাম্প্রতিককালে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করলেও ওয়ানডে খেলাটাই ভুলে গেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ইনিংসগুলো আটকে থাকছে ২০-৩০ রানের মধ্যে। জুটি গড়ার ব্যর্থতায় পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারছে না তারা। এ ব্যাপারে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই ৫০ ওভার খেলা টার্গেট থাকবে। শেষ কিছু ম্যাচে আমরা ৫০ ওভার খেলতে পারিনি। সেভাবেই টার্গেট করছি ৫০ ওভার খেলার জন্য।’
আফগানিস্তান সিরিজ শেষে দেশে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ।