ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি বাজারে এ সংঘর্ষ ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বরের (৪৫) সঙ্গে যুবদল কর্মী ও আটঘর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাসান আশরাফের (৪১) বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় নকুলহাটি বাজার থেকে নাসিরের সমর্থক রাজুকে মারধর করে হাসান আশরাফের সমর্থকরা। পরে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নকুলহাটি বাজারে বিএনপির ওই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১১ জন আহত হন। পরে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে আখের আলী, মজিবর সরদার, মো. জাহাঙ্গীর, আলমগীর ও রহমানকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিএনপি নেতা নাসির মাতুব্বর বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই শুক্রবার রাতে আমার সমর্থক রাজুকে মারধর করে হাসান আশরাফের লোকজন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
যুবদল কর্মী হাসান আশরাফ বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। আমি বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ আপার সঙ্গে ছিলাম। তবে মারামারি আমার লোকজনের সঙ্গে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।