কুমিল্লার চান্দিনায় বড় ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকা না পেয়ে ছোট ভাইয়ের নামে মামলা ও বিএনপি নেতার চাপের মুখে মাহবুব আলম রুবেল নামে এক কৃষকদল নেতার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদল নেতা মাহবুব আলম রুবেল বিষপানের আগে তার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। গত শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কৃষকদল নেতা মারা যায়।
নিহত মাহবুব আলম রুবেল (৪১) উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কৃষকদল সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা গাজী হাসান মাহমুদ হানিফ একই ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাইজখার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এদিকে নিহতের কল রেকর্ডে বলতে শুনা যায়, হানিফ আমার ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকার জন্য আমাকে মামলা দেয়। গত কয়েকদিন যাবৎ হানিফ আমাকে ফোন করে এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজনের নামে মামলা দিতে চাপ সৃষ্টি করে। না হয়, আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাবে। যেভাবেই হোক আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। ফরিদ হলো এসবের নাটের গুরু। এসব ঘটনায় আমি চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই ভাল থাকবেন। পুলিশ যেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা গাজী হাসান মাহমুদ হানিফ ইত্তেফাককে জানান, ‘মফিজ মারা যাওয়ার পর রুবেলসহ আরও তিনজন আমার টাকা পরিশোধ করবে বলে কথা দেয়। তারা টাকা না দেওয়ায় আমি আদালতে মামলা করি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে চাপ সৃষ্টি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এসব কথা মিথ্যা।’
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় কেউ আমাদের কোন কিছুই জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।