ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিশাল জনস্রোত সালাহউদ্দিনের পথসভায়

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে
বিগত ১৪ বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনে ব্যাপক গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রচারণা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। পাঁচ দিনে তিনি দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে গণসংযোগ, ৩০টি পথসভা এবং নারী ও সনাতনী সম্প্রদায়ের বিশেষ সভায় বক্তব্য দেন।

দীর্ঘদিন পর পরিচিত নেতাকে কাছে পাওয়ায় প্রতিটি সভা–সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

গণসংযোগকালে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারী–পুরুষ, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সমাবেশে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন— গভীর সমুদ্রবন্দর ঘিরে চকরিয়া–পেকুয়া ও উপকূলীয় অঞ্চলকে নতুন বিজনেস হাবে রূপান্তর করা হবে।আনোয়ারা–পেকুয়া–বদরখালী সড়ককে ৪ লেনে, আর চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ককে ৬ লেন করার প্রথম ধাপের কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া শিক্ষা–অবকাঠামো উন্নয়নে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নতুন ভবন ও আইসিটি সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণাও দেন তিনি।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ, উপকূলীয় নিরাপত্তা জোরদার, অভ্যন্তরীণ সড়ক সংস্কার, মৎস্যঘাট উন্নয়ন, কৃষকদের সেচ সুবিধা বৃদ্ধিসহ নানা দাবির কথা তুলে ধরা হয়। এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

গণসংযোগে বিভিন্ন স্থানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। চকরিয়া–পেকুয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এ প্রচারণা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চকরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জুবাইদুল হক বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ শুধু কক্সবাজারের নয়, তিনি জাতীয় নেতা। দীর্ঘ নয় বছর পর ভারতের শিলং থেকে দেশে ফিরে বিএনপির পক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক আলোচনাগুলো ছিল অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। তার ভাষা, আচরণ ও শালীনতা প্রমাণ করে তিনি কতটা পরিপক্ব নেতৃত্বের অধিকারী।কক্সবাজার–১ আসনে তার বিকল্প নেই।

বদরখালী কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চকরিয়া–পেকুয়াকে দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় ৫০ বছর এগিয়ে নিয়েছিলেন। অসম্ভব দুর্গম এলাকাতেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেন তিনি। এখন দলের আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলকে আবারো নতুনভাবে সাজাতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নয়, এই এলাকার মানুষের কাছে ব্যক্তি সালাউদ্দিনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি যেখানে গেছেন, সেখানেই মানুষের ঢল নেমেছে।

চকরিয়ার বদরখালি এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ বদরি কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক জায়গায় নারীরাই সংখ্যায় বেশি ছিলেন।

গণসংযোগের সময় এক স্থানে খবর পান— একজন শতবর্ষী নারী তাকে দেখতে অপেক্ষা করছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে গাড়ি থামিয়ে ওই বৃদ্ধার হাতে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। ওই নারী তাকে দোয়া করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশাল জনস্রোত সালাহউদ্দিনের পথসভায়

আপডেট সময় ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বিগত ১৪ বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনে ব্যাপক গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রচারণা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। পাঁচ দিনে তিনি দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে গণসংযোগ, ৩০টি পথসভা এবং নারী ও সনাতনী সম্প্রদায়ের বিশেষ সভায় বক্তব্য দেন।

দীর্ঘদিন পর পরিচিত নেতাকে কাছে পাওয়ায় প্রতিটি সভা–সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

গণসংযোগকালে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারী–পুরুষ, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সমাবেশে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন— গভীর সমুদ্রবন্দর ঘিরে চকরিয়া–পেকুয়া ও উপকূলীয় অঞ্চলকে নতুন বিজনেস হাবে রূপান্তর করা হবে।আনোয়ারা–পেকুয়া–বদরখালী সড়ককে ৪ লেনে, আর চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ককে ৬ লেন করার প্রথম ধাপের কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া শিক্ষা–অবকাঠামো উন্নয়নে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নতুন ভবন ও আইসিটি সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণাও দেন তিনি।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ, উপকূলীয় নিরাপত্তা জোরদার, অভ্যন্তরীণ সড়ক সংস্কার, মৎস্যঘাট উন্নয়ন, কৃষকদের সেচ সুবিধা বৃদ্ধিসহ নানা দাবির কথা তুলে ধরা হয়। এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

গণসংযোগে বিভিন্ন স্থানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। চকরিয়া–পেকুয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এ প্রচারণা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চকরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জুবাইদুল হক বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ শুধু কক্সবাজারের নয়, তিনি জাতীয় নেতা। দীর্ঘ নয় বছর পর ভারতের শিলং থেকে দেশে ফিরে বিএনপির পক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক আলোচনাগুলো ছিল অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। তার ভাষা, আচরণ ও শালীনতা প্রমাণ করে তিনি কতটা পরিপক্ব নেতৃত্বের অধিকারী।কক্সবাজার–১ আসনে তার বিকল্প নেই।

বদরখালী কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চকরিয়া–পেকুয়াকে দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় ৫০ বছর এগিয়ে নিয়েছিলেন। অসম্ভব দুর্গম এলাকাতেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেন তিনি। এখন দলের আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলকে আবারো নতুনভাবে সাজাতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নয়, এই এলাকার মানুষের কাছে ব্যক্তি সালাউদ্দিনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি যেখানে গেছেন, সেখানেই মানুষের ঢল নেমেছে।

চকরিয়ার বদরখালি এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ বদরি কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক জায়গায় নারীরাই সংখ্যায় বেশি ছিলেন।

গণসংযোগের সময় এক স্থানে খবর পান— একজন শতবর্ষী নারী তাকে দেখতে অপেক্ষা করছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে গাড়ি থামিয়ে ওই বৃদ্ধার হাতে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। ওই নারী তাকে দোয়া করেন।