ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বীক্ষণ এর আলোচনায় ছালেহা বেগমকে ভাষা সৈনিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জোর দাবি জানান আলোচকবৃন্দ

  • Aminul Islam
  • আপডেট সময় ১০:০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ-

২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বেলা এগারোটায় ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ এর সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রকল্প বীক্ষণ এর ২০৮৫ তম আসর বিপিন পার্কের পাশে চেতনা সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা সৈনিক ছালেহা বেগম স্মরণ শীর্ষক  আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক জিয়া উদ্দিন আহমেদ,  বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কাজী আজাদ জাহান শামীম, বিশিষ্ট আইনজীবী শিব্বির আহাম্মেদ লিটন, প্রয়াত ভাষা সৈনিক ছালেহা বেগম এর সন্তান লেখক গবেষক সৈয়দ শাকিল আহাদ, বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দা ফরিদা আক্তার এবং খ্যাতিমান সংগীত সংগীত শিল্পী সৈয়দ ওয়াকিল আহাদ প্রমুখ।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক কবি স্বাধীন চৌধুরী। প্রয়াত মহান এই ভাষা সংগ্রামীর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আজও মেলেনি।তিনি
১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে সেদিন ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী ছালেহা বেগম  প্রতিবাদ জানিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।যে বহিষ্কার আদেশ আজও বহাল রয়েছে। আলোচকবৃন্দ বলেন, এ দায় থেকে জাতির কলঙ্কমুক্ত হতে হবে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য মুসলিম গার্লস স্কুলের বর্তমান কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।বক্তারা বলেন,স্কুল কর্তৃপক্ষের অনেক আগেই এই কালিমা থেকে মুক্ত হওয়া উচিৎ ছিল। এই মহান ভাষা সৈনিকের পরিবারকে ভাষা সৈনিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আাদায়ের জন্য নতুন করে  আন্দোলন করতে হচ্ছে যা বেদনাদায়ক এবং জাতির জন্যও লজ্জাকর।ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও একজন দেশপ্রেমিকের সম্মানের স্বীকৃতি জানাতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র। এই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে হবে আমাদের। অনতিবিলম্বে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে  ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি প্রদানসহ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদকে ভূষিত করার জোর দাবি জানান বক্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি ও স্বরচিত লেখা পাঠ করেন উপস্থিত লেখক-শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বীক্ষণ আহবায়ক কবি রফিকুল ইসলাম মানিক।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Admin

doinikmatiomanuss.com

বীক্ষণ এর আলোচনায় ছালেহা বেগমকে ভাষা সৈনিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জোর দাবি জানান আলোচকবৃন্দ

আপডেট সময় ১০:০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইন নিউজ-

২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বেলা এগারোটায় ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ এর সাপ্তাহিক পাঠচক্র প্রকল্প বীক্ষণ এর ২০৮৫ তম আসর বিপিন পার্কের পাশে চেতনা সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা সৈনিক ছালেহা বেগম স্মরণ শীর্ষক  আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক জিয়া উদ্দিন আহমেদ,  বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কাজী আজাদ জাহান শামীম, বিশিষ্ট আইনজীবী শিব্বির আহাম্মেদ লিটন, প্রয়াত ভাষা সৈনিক ছালেহা বেগম এর সন্তান লেখক গবেষক সৈয়দ শাকিল আহাদ, বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দা ফরিদা আক্তার এবং খ্যাতিমান সংগীত সংগীত শিল্পী সৈয়দ ওয়াকিল আহাদ প্রমুখ।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক কবি স্বাধীন চৌধুরী। প্রয়াত মহান এই ভাষা সংগ্রামীর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আজও মেলেনি।তিনি
১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে সেদিন ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী ছালেহা বেগম  প্রতিবাদ জানিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।যে বহিষ্কার আদেশ আজও বহাল রয়েছে। আলোচকবৃন্দ বলেন, এ দায় থেকে জাতির কলঙ্কমুক্ত হতে হবে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য মুসলিম গার্লস স্কুলের বর্তমান কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।বক্তারা বলেন,স্কুল কর্তৃপক্ষের অনেক আগেই এই কালিমা থেকে মুক্ত হওয়া উচিৎ ছিল। এই মহান ভাষা সৈনিকের পরিবারকে ভাষা সৈনিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আাদায়ের জন্য নতুন করে  আন্দোলন করতে হচ্ছে যা বেদনাদায়ক এবং জাতির জন্যও লজ্জাকর।ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও একজন দেশপ্রেমিকের সম্মানের স্বীকৃতি জানাতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র। এই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে হবে আমাদের। অনতিবিলম্বে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে  ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি প্রদানসহ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদকে ভূষিত করার জোর দাবি জানান বক্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি ও স্বরচিত লেখা পাঠ করেন উপস্থিত লেখক-শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বীক্ষণ আহবায়ক কবি রফিকুল ইসলাম মানিক।