ময়মনসিংহ , শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ,টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরের টঙ্গীতে  একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আজ রোববার সকাল ৭টা থেকে ওই এলাকার বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর থেকে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা।

বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তারিখ দিয়ে বেতন পরিশোধ করেননি। বরং গত ১১ মার্চ হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় শ্রমিকরা। ওইদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। ওই সময় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে কারখানা কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা বলে। পরে অল্প সংখ্যক শ্রমিকের বেতন দেওয়া হলেও বেশিরভাগ শ্রমিককেই বেতন দেওয়া হয়নি।

বেতন না পেয়ে আজ রোববার সকাল থেকে বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেডের সামনে জড়ো হতে থাকে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মহাসড়কটির উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে। চরম দুর্ভোগে পড়ে মহাসড়কটি ব্যবহারকারীরা। খবর পেয়ে শিল্প ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ কারখানার শ্রমিকরা কিছুদিন আগেও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল। পরে ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কারখানার দেড় হাজার শ্রমিকের মধ্যে এক হাজার ২৫০ জন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার শ্রমিকরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে কারখানায় ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সকাল ৭টা থেকে বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে নেয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ,টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১০:৩০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীতে  একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আজ রোববার সকাল ৭টা থেকে ওই এলাকার বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর থেকে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা।

বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তারিখ দিয়ে বেতন পরিশোধ করেননি। বরং গত ১১ মার্চ হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় শ্রমিকরা। ওইদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। ওই সময় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে কারখানা কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা বলে। পরে অল্প সংখ্যক শ্রমিকের বেতন দেওয়া হলেও বেশিরভাগ শ্রমিককেই বেতন দেওয়া হয়নি।

বেতন না পেয়ে আজ রোববার সকাল থেকে বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেডের সামনে জড়ো হতে থাকে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মহাসড়কটির উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে। চরম দুর্ভোগে পড়ে মহাসড়কটি ব্যবহারকারীরা। খবর পেয়ে শিল্প ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এ কারখানার শ্রমিকরা কিছুদিন আগেও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল। পরে ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কারখানার দেড় হাজার শ্রমিকের মধ্যে এক হাজার ২৫০ জন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার শ্রমিকরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে কারখানায় ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সকাল ৭টা থেকে বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে নেয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।