ময়মনসিংহ , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ভুয়া কাবিনে যৌতুক মামলা, অতঃপর কারাগারে নারী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে মামলা দেওয়ায় ছাবিকুন নাহার পারুল (৩৯) নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ২৭ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ফাহমিদা পিয়া এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ছাবিকুন নাহার পারুল উপজেলার শেখ আবুল হাসেমের মেয়ে। পারুলের স্বামী ইয়াছিন শেখ ২০১৪ সালে মারা যান এবং তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলি এমএ আলম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলা নথি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ২০২৪ সালের মে মাসে কাশিয়ানী সদরের বাসিন্দা মো. সবুজ আল সাহবা (৩১) নামে এক যুবককে স্বামী দাবি করে আদালতে যৌতুক মামলা করেন ওই নারী।  ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।

এ মামলায় ওই যুবক আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠায়। তিনদিন কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পান ওই যুবক। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

সিআইডি মামলার ঘটনার সত্যতা পায়নি। এরপর ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগী সবুজ। সেই মামলায় গত রোববার হাজিরা দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন চেয়েছিলেন ওই নারী। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এমএ আলম সেলিম বলেন, যৌতুক মামলাটি আদালতের কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীর করা মামলায় ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভুয়া কাবিনে যৌতুক মামলা, অতঃপর কারাগারে নারী

আপডেট সময় ১১:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে মামলা দেওয়ায় ছাবিকুন নাহার পারুল (৩৯) নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ২৭ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ফাহমিদা পিয়া এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ছাবিকুন নাহার পারুল উপজেলার শেখ আবুল হাসেমের মেয়ে। পারুলের স্বামী ইয়াছিন শেখ ২০১৪ সালে মারা যান এবং তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলি এমএ আলম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলা নথি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ২০২৪ সালের মে মাসে কাশিয়ানী সদরের বাসিন্দা মো. সবুজ আল সাহবা (৩১) নামে এক যুবককে স্বামী দাবি করে আদালতে যৌতুক মামলা করেন ওই নারী।  ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।

এ মামলায় ওই যুবক আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠায়। তিনদিন কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পান ওই যুবক। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

সিআইডি মামলার ঘটনার সত্যতা পায়নি। এরপর ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগী সবুজ। সেই মামলায় গত রোববার হাজিরা দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন চেয়েছিলেন ওই নারী। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এমএ আলম সেলিম বলেন, যৌতুক মামলাটি আদালতের কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীর করা মামলায় ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।