ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ময়মনসিংহের ভালুকায় একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

বিছানায় পড়ে ছিল মা, মেয়ে ও ছেলের গলা কাটা লাশ।ঘটনাটি ঘটেছে  ময়মনসিংহের ভালুকায়।

একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) রাতের কোনো এক সময় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খারুয়ালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তার মেয়ে রাইসা বেগম (৭) ও ছেলে নিরব (২)।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম খারুয়ালি এলাকার ফাইয়ুম মিয়ার দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল কাঠালি এলাকার রাসেল মিলে চাকরি করতেন। আর নজরুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতো।

প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে রফিকুল নিজ কর্মস্থলে চলে যান।সকালে ডিউটি শেষে বাসায় এসে বারান্দার গেটে তালা লাগানো দেখেন। কিছু সময় ডাকাডাকি পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না তিনি। পরে বাসার মালিক ও তার স্ত্রীকে ডেকে আনেন রফিকুল। একপর্যায়ে বারান্দার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্ত্রী ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা একটি বিছানার চাদর জব্দ করে। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা কিছুই বলতে পারছে না।

রফিকুল বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার সময় আমি বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাই। সকালে এসে দেখি আমার ঘরের বারান্দার দরজা তালা লাগানো। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।  কী কারণে আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করা হলো তা আমি বলতে পারছি না। আমার ভাইকেও খুঁজে পাচ্ছি না।’

ভালুকা মডেল ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই নিহতের দেবর নজরুল পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।  নজরুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

ময়মনসিংহের ভালুকায় একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা

আপডেট সময় ০২:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বিছানায় পড়ে ছিল মা, মেয়ে ও ছেলের গলা কাটা লাশ।ঘটনাটি ঘটেছে  ময়মনসিংহের ভালুকায়।

একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) রাতের কোনো এক সময় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খারুয়ালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তার মেয়ে রাইসা বেগম (৭) ও ছেলে নিরব (২)।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম খারুয়ালি এলাকার ফাইয়ুম মিয়ার দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল কাঠালি এলাকার রাসেল মিলে চাকরি করতেন। আর নজরুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতো।

প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে রফিকুল নিজ কর্মস্থলে চলে যান।সকালে ডিউটি শেষে বাসায় এসে বারান্দার গেটে তালা লাগানো দেখেন। কিছু সময় ডাকাডাকি পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না তিনি। পরে বাসার মালিক ও তার স্ত্রীকে ডেকে আনেন রফিকুল। একপর্যায়ে বারান্দার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্ত্রী ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা একটি বিছানার চাদর জব্দ করে। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা কিছুই বলতে পারছে না।

রফিকুল বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার সময় আমি বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাই। সকালে এসে দেখি আমার ঘরের বারান্দার দরজা তালা লাগানো। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।  কী কারণে আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করা হলো তা আমি বলতে পারছি না। আমার ভাইকেও খুঁজে পাচ্ছি না।’

ভালুকা মডেল ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই নিহতের দেবর নজরুল পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।  নজরুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।’