কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সবচেয়ে বড় নিয়ামত। কিন্তু আমরা অনেক সময় ভাবি প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে কুরআন পড়ব, অথচ কিছুদিন পর আর সেই অভ্যাস থাকে না।
এর মূল কারণ হলো আমাদের মস্তিষ্ক বড় পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে পারে না। তাই প্রয়োজন ছোট থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে কুরআনের সাথে মনের বন্ধন গড়ে তোলা। নিচে সহজ চারটি উপায়ে নতুন কুরআন অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হলো।
*ছোট থেকে শুরু করুন
বড় লক্ষ্য অনেক সময় আকর্ষণীয় মনে হলেও, টেকসই হয় ছোট ছোট লক্ষ্য। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি আয়াত পড়ে তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন আর হৃদয়ে অনুভব করুন। জান্নাতের আয়াত হলে জান্নাতের সৌন্দর্য কল্পনা করুন, জাহান্নামের আয়াত হলে তার ভয় উপলব্ধি করুন, আর কাহিনি হলে নিজেকে সেই ঘটনার দর্শক হিসেবে ভাবুন।
*নির্দিষ্ট সময় বা ইঙ্গিত ব্যবহার করুন
অভ্যাস গড়তে হলে নিয়মিত একটি সময় ঠিক করতে হবে। যেমন, ঘুমানোর আগে ৫ মিনিট কুরআন পড়া। কয়েক সপ্তাহ পর এটি স্বাভাবিকভাবে মনে পড়বে। এ ছাড়া বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় কুরআন রেখে দিন। বিছানার পাশে থাকলে ঘুমানোর আগে পড়তে ভুলবেন না।
*সুবিধাজনক করে তুলুন
কোনো কাজ আরামদায়ক হলে সেটি সহজেই স্থায়ী হয়। তাই কুরআন পড়ার সময় আরামদায়ক আসনে বসুন এবং মন শান্ত রাখুন। এতে নিয়মিত কুরআন পড়া সহজ হবে।
*চেইন ভাঙবেন না
একজন লেখক প্রতিদিন লেখার অভ্যাস করেছিলেন ক্যালেন্ডারে প্রতিদিনের তারিখে লাল দাগ দিয়ে। কোনো ফাঁকা দিন না রাখাই তার লক্ষ্য ছিল। কুরআন পড়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রয়োগ করা যায়। প্রতিদিন পড়লে ক্যালেন্ডারে ✔ দিন দিন, আর ফাঁকা রাখা থেকে বিরত থাকুন।
কুরআন শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া উচিত। যদি প্রতি মাসে পাঁচটি কুরআন উপহার দেন, তবে এক বছরে ৬০টি এবং বিশ বছরে ১২০০টি কুরআন বিতরণ করা সম্ভব। রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়। (বুখারি)