ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকসহ গ্রোপ্তার ২

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুর পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ (২৫) এবং ওই মাদ্রাসার পরিচালক মোহাম্মদুল্লাহ (৩৫)। তারা সম্পর্কে আপন ভাই।

মামলার বরাতে ওসি তানভীর বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে সদর উপজেলার এনায়েতপুরে হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় ১০ বছরের এক শিশুকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। শিশুটি প্রতিষ্ঠানে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করতো। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালকের ছোট ভাই ওবায়দুল্লাহ শিশুটিকে টাকা চুরির অপবাদ দেন।

ওসি আরও বলেন, ২৮ জুলাই মাদ্রাসা ছুটির পর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালকে জানালে তিনি তার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ বের হতে থাকে।

জানা যায়, মাদ্রাসার অন্তত ২০ থেকে ২৫ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টাসহ তাদের ভিডিও ধারণ করেন ওবায়দুল্লাহ বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, ওবায়দুল্লাহ আমার মেয়েসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জনের সঙ্গে এমন করেছেন। আমি এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি করছি। প্রতিষ্ঠানের অন্য অভিভাবকরাও দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন। ওবায়দুল্লাহ আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কোনোটিরই বিচার হয়নি।

ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকসহ গ্রোপ্তার ২

আপডেট সময় ১০:৩৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুর পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ (২৫) এবং ওই মাদ্রাসার পরিচালক মোহাম্মদুল্লাহ (৩৫)। তারা সম্পর্কে আপন ভাই।

মামলার বরাতে ওসি তানভীর বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে সদর উপজেলার এনায়েতপুরে হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় ১০ বছরের এক শিশুকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। শিশুটি প্রতিষ্ঠানে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করতো। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালকের ছোট ভাই ওবায়দুল্লাহ শিশুটিকে টাকা চুরির অপবাদ দেন।

ওসি আরও বলেন, ২৮ জুলাই মাদ্রাসা ছুটির পর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালকে জানালে তিনি তার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ বের হতে থাকে।

জানা যায়, মাদ্রাসার অন্তত ২০ থেকে ২৫ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টাসহ তাদের ভিডিও ধারণ করেন ওবায়দুল্লাহ বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, ওবায়দুল্লাহ আমার মেয়েসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জনের সঙ্গে এমন করেছেন। আমি এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি করছি। প্রতিষ্ঠানের অন্য অভিভাবকরাও দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন। ওবায়দুল্লাহ আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কোনোটিরই বিচার হয়নি।

ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।