ময়মনসিংহ , শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মারধরের অভিযোগ সমাবর্তনে আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে

  • ডিজিটাল রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

গত বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তনে অংশ নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা।

মারধরের শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. মামুন।  মামুন অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনে তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের দুই সাবেক নেতাকে হত্যার অভিযোগ ছিল, যা নিয়ে একসময় ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।মারধরের শিকার ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা মো. মামুন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার অনুষ্ঠিত হয় চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্নাতক সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট এই আয়োজনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাকে এ সময় সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

মামুনের ভাই মো. মাসুম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি ছেড়েছে প্রায় আট বছর আগে। সে শুধু সমাবর্তনে অংশ নিতে গিয়েছিল। সেটাই এখন তার বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মারধরের পর মামুনকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মামুন আমাদের সংগঠনের দুই নেতাকে হত্যায় জড়িত ছিল। ক্যাম্পাসে তাকে দেখে পুরনো কিছু কর্মী তাকে অনুসরণ করে ধরে ফেলে এবং মারধর করে। পরে তারাই আবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।’

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

মারধরের অভিযোগ সমাবর্তনে আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে

আপডেট সময় ১১:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

গত বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তনে অংশ নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা।

মারধরের শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. মামুন।  মামুন অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনে তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের দুই সাবেক নেতাকে হত্যার অভিযোগ ছিল, যা নিয়ে একসময় ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।মারধরের শিকার ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা মো. মামুন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার অনুষ্ঠিত হয় চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্নাতক সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট এই আয়োজনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাকে এ সময় সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

মামুনের ভাই মো. মাসুম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি ছেড়েছে প্রায় আট বছর আগে। সে শুধু সমাবর্তনে অংশ নিতে গিয়েছিল। সেটাই এখন তার বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মারধরের পর মামুনকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মামুন আমাদের সংগঠনের দুই নেতাকে হত্যায় জড়িত ছিল। ক্যাম্পাসে তাকে দেখে পুরনো কিছু কর্মী তাকে অনুসরণ করে ধরে ফেলে এবং মারধর করে। পরে তারাই আবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।’

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।