পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ঊর্মী ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে তিনজনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ঊর্মীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে জানতে চাইলে ২০ আগস্ট রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা-মাসহ কামাল ভগ্নিপতি মিলে ঊর্মীর গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গোপন করার চেষ্টা করেন তারা।
এর আগে গত শনিবার সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে কুম্ভখালী খাল থেকে ঊর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ঊর্মীকে গুম ও খুনের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলার আবেদন করেন নিহত কিশোরীর বাবা নজরুল ইসলাম। সবশেষ মা-বাবাসহ ভগ্নিপতি কামাল হোসেন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশি তদন্তে উঠে আসে।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আমাদের কাছে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে। এরপর থেকেই আমরা ঘটনাটি বিভিন্নভাবে তদন্তে নামি। একপর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কিশোরীর মা, বাবা, এবং দুলাভাইয়ের সম্পৃক্ততা পাই। এরপরে বিভিন্ন প্রমাণ হাতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততার কথা তারা স্বীকার করেন।