ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকসহ ১৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে লাভলু সর্দার নামে এক দিনমজুর মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলার অনেক তথ্যই বাদী জানা নেই বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলায় বিএনপির আরো কর্মী সমর্থককে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন এমন খবরে সেদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আসামিরা সশস্ত্র হয়ে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের চৌরাস্তায় যানবাহন ভাংচুর করে দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. সাইফুর রহমান সাইফারকে।

এতে আরো আসামি করা হয়েছে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত হোসেন, ঢাকা টাইমসের প্রতিনিধি রিয়াজ মুস্তাফিজ, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য কামরুল ইসলাম, কালবেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলামকে। তবে এসব আসামীদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মামলায় বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকেও আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন— আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিতারা মন্ডল, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম এলাকার ইউপি সদস্য রাজ ইসলাম খোকন, আড়পাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য উকিল মোল্যা, বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল বাশার, খোলাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, টগরবন্দ ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শামীম মল্লিক।

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ জানান, মামলার দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে মো. ইকবাল জিহাদী নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তিনি কোন দলীয় কাগজপত্র দেখাননি।

মামলার বিষয়ে অনেক কিছুই বাদী অনেক কিছু জানে না, এ বিষয়ে ওসি বলেন, তিনি স্বাক্ষর করার সময় আমার সামনেই দেখেশুনে স্বাক্ষর করেছেন। হইতো কোন চাপে এখন এ কথা বলছেন। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলায় ১৩ নম্বর আসামী মো. আজাদুল ইসলাম আলফাডাঙ্গা সরকারি এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার কোনো পদ পদবীও নেই। স্কুল সরকারি হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের পদে ছিলাম। সরকারি হওয়ার পর দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়। হয়রানি করতেই হয়তো আমাকে আসামী করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকসহ ১৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৩:০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে লাভলু সর্দার নামে এক দিনমজুর মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলার অনেক তথ্যই বাদী জানা নেই বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলায় বিএনপির আরো কর্মী সমর্থককে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন এমন খবরে সেদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আসামিরা সশস্ত্র হয়ে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের চৌরাস্তায় যানবাহন ভাংচুর করে দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মীদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. সাইফুর রহমান সাইফারকে।

এতে আরো আসামি করা হয়েছে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত হোসেন, ঢাকা টাইমসের প্রতিনিধি রিয়াজ মুস্তাফিজ, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য কামরুল ইসলাম, কালবেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলামকে। তবে এসব আসামীদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মামলায় বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকেও আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন— আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিতারা মন্ডল, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম এলাকার ইউপি সদস্য রাজ ইসলাম খোকন, আড়পাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য উকিল মোল্যা, বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের ইউপি সদস্য আবুল বাশার, খোলাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, টগরবন্দ ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শামীম মল্লিক।

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ জানান, মামলার দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে মো. ইকবাল জিহাদী নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তিনি কোন দলীয় কাগজপত্র দেখাননি।

মামলার বিষয়ে অনেক কিছুই বাদী অনেক কিছু জানে না, এ বিষয়ে ওসি বলেন, তিনি স্বাক্ষর করার সময় আমার সামনেই দেখেশুনে স্বাক্ষর করেছেন। হইতো কোন চাপে এখন এ কথা বলছেন। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলায় ১৩ নম্বর আসামী মো. আজাদুল ইসলাম আলফাডাঙ্গা সরকারি এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার কোনো পদ পদবীও নেই। স্কুল সরকারি হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের পদে ছিলাম। সরকারি হওয়ার পর দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়। হয়রানি করতেই হয়তো আমাকে আসামী করা হয়েছে।