জানা গেছে, মামলায় আরো আড়াই থেকে ৩ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় রয়েছে যুবদল নেতাও। এরইমধ্যে মো. ইকবাল জিহাদী (৪০) নামে ওই যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ইকবাল জিহাদী আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি বলে জানিয়েছেন পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. সাইফুর রহমান সাইফারকে।
আসামির তালিকায় রয়েছেন, পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়া, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, আলফাডাঙ্গা সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আলী বাশার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার তপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কাওছার হোসেন টিটোসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৭০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলার অনেক তথ্যই বাদীর জানা নেই বলে শোনা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী লাভলু সর্দার বলেন, বিষয়টা সেই রকমই। মামলার অনেক ঘটনাই আমার জানা নেই। পড়ালেখা জানলে হয়তো অনেক কিছুই বুঝতে পারতাম! মামলার বিষয়ে তার কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরাসরি সাক্ষাতে কথা বলব।
মামলার বিষয়ে অনেক কিছুই বাদী অনেক কিছু জানে না, এ বিষয়ে ওসি বলেন, তিনি স্বাক্ষর করার সময় আমার সামনেই দেখেশুনে স্বাক্ষর করেছেন। হইতো কোন চাপে এখন এ কথা বলছেন। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় ১৩ নম্বর আসামী মো. আজাদুল ইসলাম আলফাডাঙ্গা সরকারি এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার কোনো পদ পদবীও নেই। স্কুল সরকারি হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের পদে ছিলাম। সরকারি হওয়ার পর দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়। হয়রানি করতেই হয়তো আমাকে আসামী করা হয়েছে।