ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মেডিকেল কলেজের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত আর্মড ফোর্সেস

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর সভাপতিত্বে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ-এর ১৮তম কাউন্সিল অব দি কলেজ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস (ডিজিএমএস) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী, সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. মাসুদুল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি)-এর উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম ছাড়াও প্রতিরক্ষা, অর্থ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিবৃন্দ।

১৮তম কাউন্সিল অব দি কলেজের সভায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের বাজেট, ভর্তি প্রক্রিয়া, পেশাগত পরীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ, ফুল ফ্রি এমবিবিএস স্কলারশীপের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (সিএআর)-এর চারজন বিদেশি ক্যাডেট-এর ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম অবহিতকরণ ও ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ফিলিস্তিনের দুইজন শিক্ষার্থীর ভর্তি অনুমোদন, এই কলেজ থেকে পাশকৃত ইন্টার্ন চিকিৎসকগণকে সিএমএইচ ঢাকায় চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গহীত হয়।

১৯৯৭ সালে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট এর স্থাপনায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৯৯ সালের ২০ জুন ৫৬ জন মেডিকেল ক্যাডেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই কলেজে ৬টি শিক্ষাবর্ষে ইন্টার্ণসহ মোট ৭৬০ জন ক্যাডেট অধ্যয়নরত। এ পর্যন্ত ২২টি ব্যাচে ১০০জন বিদেশি ডাক্তারসহ মোট ১ হাজার ৯০৮ জন চিকিৎসক হয়েছেন যার মধ্যে ৫৪৭ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ দেশে বিদেশে কর্মরত আছেন।

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে শিক্ষার মান সর্বদাই উন্নত যা বিভিন্ন পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রতিফলিত হচ্ছে। জন্মলগ্ন হতে এএফএমসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত থাকলেও বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর অধিভূক্ত। বিভিন্ন পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার ফলাফলে অত্র কলেজের পাশের হার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ দেশের একমাত্র বাধ্যতামূলক আবাসিক সরকারি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই হরতাল, ধর্মঘট বা অবরোধের মতো পরিস্থিতি শিক্ষা কার্যক্রমে কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। এই কলেজ ২০০৫ সাল থেকে “জেএএফএমসি” শিরোনামে একটি মানসম্মত মেডিকেল জার্নাল ষান্মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে যা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড সিরিয়াল নাম্বার (আইএসএসএন), ডিরেক্টরি ফর অনলাইন এক্সেস অফ জার্নাল (ডিওএজে), ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ সাইন্টেফিক পাবলিকেশন্স (আইএনএএসপি) হেলথ ইন্টার নেটওয়ার্ক এক্সেস টু রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (এইচআইএনএআরআই) কর্তৃক নিবন্ধিত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) কর্তৃক অনুমোদিত, যা দেশ বিদেশের চিকিৎসকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মেডিকেল কলেজের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত আর্মড ফোর্সেস

আপডেট সময় ০৯:৪৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর সভাপতিত্বে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ-এর ১৮তম কাউন্সিল অব দি কলেজ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস (ডিজিএমএস) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী, সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. মাসুদুল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি)-এর উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম ছাড়াও প্রতিরক্ষা, অর্থ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিবৃন্দ।

১৮তম কাউন্সিল অব দি কলেজের সভায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের বাজেট, ভর্তি প্রক্রিয়া, পেশাগত পরীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ, ফুল ফ্রি এমবিবিএস স্কলারশীপের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (সিএআর)-এর চারজন বিদেশি ক্যাডেট-এর ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম অবহিতকরণ ও ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ফিলিস্তিনের দুইজন শিক্ষার্থীর ভর্তি অনুমোদন, এই কলেজ থেকে পাশকৃত ইন্টার্ন চিকিৎসকগণকে সিএমএইচ ঢাকায় চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গহীত হয়।

১৯৯৭ সালে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট এর স্থাপনায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৯৯ সালের ২০ জুন ৫৬ জন মেডিকেল ক্যাডেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই কলেজে ৬টি শিক্ষাবর্ষে ইন্টার্ণসহ মোট ৭৬০ জন ক্যাডেট অধ্যয়নরত। এ পর্যন্ত ২২টি ব্যাচে ১০০জন বিদেশি ডাক্তারসহ মোট ১ হাজার ৯০৮ জন চিকিৎসক হয়েছেন যার মধ্যে ৫৪৭ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ দেশে বিদেশে কর্মরত আছেন।

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে শিক্ষার মান সর্বদাই উন্নত যা বিভিন্ন পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রতিফলিত হচ্ছে। জন্মলগ্ন হতে এএফএমসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত থাকলেও বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর অধিভূক্ত। বিভিন্ন পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার ফলাফলে অত্র কলেজের পাশের হার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ দেশের একমাত্র বাধ্যতামূলক আবাসিক সরকারি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই হরতাল, ধর্মঘট বা অবরোধের মতো পরিস্থিতি শিক্ষা কার্যক্রমে কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। এই কলেজ ২০০৫ সাল থেকে “জেএএফএমসি” শিরোনামে একটি মানসম্মত মেডিকেল জার্নাল ষান্মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে যা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড সিরিয়াল নাম্বার (আইএসএসএন), ডিরেক্টরি ফর অনলাইন এক্সেস অফ জার্নাল (ডিওএজে), ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ সাইন্টেফিক পাবলিকেশন্স (আইএনএএসপি) হেলথ ইন্টার নেটওয়ার্ক এক্সেস টু রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (এইচআইএনএআরআই) কর্তৃক নিবন্ধিত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমএন্ডডিসি) কর্তৃক অনুমোদিত, যা দেশ বিদেশের চিকিৎসকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।