রকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে থাকলেও হঠাৎই অনিশ্চয়তায় পড়েছে পুরো উদ্যোগটি। পে কমিশনের সদস্যরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বটে, তবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন—নতুন পে স্কেল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার।
এ অবস্থায় চাকরিজীবীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বর্তমান সরকারকেই পে স্কেল কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর আগে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কাঠামো ঘোষণার জন্য আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন কর্মচারীরা। এখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকারের সীমিত আর্থিক সক্ষমতা এবং রাজস্ব ঘাটতির চাপের কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন থেকে সরে আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন,
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম বলেন,
“বর্তমান সরকারের ব্যয় ও ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ এতটাই বেড়েছে যে, রাজস্ব আয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করা বাস্তবসম্মত নয়। ভবিষ্যৎ সরকারও অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক না করলে এমন বৃদ্ধি করা কঠিন হবে।”

অনলাইন ডেস্ক 























