অনলাইন সংবাদ: রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি অফিস ৭’শ ১৮ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও ইতোমধ্য ৭শ’২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা যায়, চলতি মওসুমে মরিচ উৎপাদনে উপজেলার মরিচ চাষীরা ৭’শ ২০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করে পরিচর্যা কাজে ঝুঁকেছেন । ফেব্রুয়ারী’র প্রথম সপ্তাহ থেকে কৃষকরা মাঠে মরিচের চারা রোপণ আরাম্ভ করে। ইতোমধ্য চাষীরা চারা রোপণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। হাইব্রিডের বিভিন্ন জাতসহ স্থানীয়ভাবে কলাবাড়ি জাত বিশেষভাবে রোপণ করা হয়। মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ার বিগত বছরের তুলনায় চলমান মওসুমে মরিচ চাষ উপজেলায় বেশি।
‘এখানে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা রোগমালাই প্রতিরোধে নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ।
উপজেলার এক নিয়মিত মরিচ চাষী জানান, ইতোমধ্য জমি তৈরী করে চারা রোপণ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। প্রতিবছরই মরিচ চাষ করি। এ বছর ভালো মুনাফা হয়েছে। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা রোগবালাই নিধনসহ ফসলের ভালো ফলনে নিয়মিত পরামর্শসহ জমি পরিদর্শনে আসেন’।
রংপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মাধ্যেমে জানা যায়, জেলার ৮টি উপজেলা ও মেট্রো এলাকায় চলতি মওসুমে মেট্রো এলাকায় ৮৩ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৭৭ হেক্টর, কাউনিয়া উপজেলায় ১শ’৭০ হেক্টর, গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১শ’২৫ হেক্টর, মিঠাপুকুর উপজেলায় ২শ’৬৮ হেক্টর, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৭শ’১৮ হেক্টর, পীরগাছা উপজেলায় ১শ’৪৫ হেক্টর, বদরগঞ্জ উপজেলায় ১শ’২৯ হেক্টরসহ তারাগঞ্জ উপজেলায় ৩শ’৩৫ হেক্টর জমিসহ সর্বমোট ২০৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্য পীরগঞ্জ উপজেলায় সব থেকে বেশি জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
জেলার রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, মরিচ একটি উচ্চ মূল্যের মসলা জাতীয় ফসল। মরিচ ফসল চাষাবাদ লাভজনক হওয়ায় পীরগঞ্জ উপজেলাসহ রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা ধারাবাহিকভাবে উক্ত ফসল চাষাবাদ করছে।