গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির একাধিক সদস্য এই বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির কেউ নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন হলেও তারা প্রায় ছয় মাস ধরে ক্ষমতায় আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথমে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রথম কর্মসূচিতে সমাবেশ হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে বিভাগ ও জেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি হতে পারে।
রজমানের আগেই এসব কর্মসূচি শেষ করতে চায় বিএনপি। আগামী মাসের শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশে রোজা শুরু হবে।
সম্প্রতি বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন করে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। তবে বিএনপি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়কে নির্বাচনের জন্য ‘অতিরিক্ত সময়’ মনে করছে। তারা সরকারকে এত সময় দিতে রাজি নয়।
বৈঠকে দলটির নেতারা অভিমত দেন যে নির্বাচনের জন্য এত সময়ের দরকার নেই। ন্যূনতম সংস্কার করে একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আগামী জুলাই-আগস্টেই করা সম্ভব। জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের দাবিটা মূলত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য করছে বিএনপি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলেই তাদের আপত্তি থাকবে না।