রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌর সভা রয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিত আদেশ থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন এলাকার জনগণ। তারা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অত্র উপজেলার ছয়জন ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ দলীয় হওয়ায় তারা পলাতক। এদিক থেকে বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থীত হওয়ায় তিনি এলাকাতে রয়েছেন।
এলাকাবাসীদের দাবি, আদালতের স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে চেয়ারম্যানকে তার চেয়ারে বসার আদেশ বহাল করা হউক।
এদিক থেকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ১ নং বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জুর দায়ের করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিত প্রশাসক বসানোর বিষয়টি গত কয়েকমাস পূর্বে স্থগিত করেছেন মাহামান্য হাইকোর্টের বিচারক। তবে এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যানকেও দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়নি। এর ফলে সেবাপ্রার্থী মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলাকার সুশীল সমাজের অভিমত, স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের সেবা কার্যক্রমে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জড়িত। তাই সাধারণ জনগণের ভুগান্তি কমাতে দ্রুত সকল ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক বাতিল করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অথবা সুযোগ থাকলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যানদের বহাল করা আবশ্যক।
এ বিষয়ে বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জু বলেন, আমি বিএনপির ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে চাই। হতে চাই একজন সেবক। বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারক আমার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসক দিয়ে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি স্থগিত আদেশ দিয়েছেন। আশা করছি, সামনের তারিখে চেয়ারম্যান হিসাবে আমাকে দায়িত্ব ভার দিবেন। আমি দায়িত্ব পেলে জনগণ পুর্ণাঙ্গ সেবা পাবে।
এ প্রসঙ্গে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনে জনবল সংকোট থাকার কারনে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছিনা। এ কারনে ব্যাপক জনবহুল এলাকা উপজেলার বাউসা ইউপিতে ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থীত একজন সদস্যকে সর্ব সম্মতি ক্রমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাজুবাঘা নিয়ে চেয়ারম্যান আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। সেখান থেকে রায় পেলে খুব শীর্ঘই তিনি দায়িত্বভার গ্রহন করবেন।