ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘন কুয়াশায় নাটোরে ৬ ট্রাকে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ ডলার বাজারে অস্থিরতা, লেনদেনের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক এমপি পোটন রিমান্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ,৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করলেন দুদকের মামলা স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্ত্র-মাদক কেনাবেচা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

রাতে বৃষ্টি না হলেও কমেনি সিলেটে পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি

  • ঊম্মে সালমা
  • আপডেট সময় ১২:২২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ:

সিলেটে গতকাল বুধবার সারা দিন বৃষ্টির পর রাতে বৃষ্টি হয়নি। তবে এতে পানিবন্দী লোকজনের ভোগান্তি কমেনি। রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে এমন আশা করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে পানিবন্দী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার রাতে বৃষ্টি রেকর্ড হয়নি। সিলেটে আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি আজ সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়া এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টির ওপর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি নির্ভর করছে। পাহাড়ি ঢল নামার ফলে নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।সিলেট নগরের জলাবদ্ধ এলাকাগুলোয় পানি কিছুটা কমলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। নগরের শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, মীরাবাজার, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, তোপখানা, বেতেরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘিরপাড় ও মণিপুরি রাজবাড়ি এলাকা জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

রাতে বৃষ্টি না হলেও কমেনি সিলেটে পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি

সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা ফাহাদ মো. হোসেন বলেন, ঈদের দিন থেকে পানিবন্দী অবস্থায় ঘরে ছিলেন। ঈদের দিন পানির জন্য কোরবানি দিতে পারেননি। ঈদের দ্বিতীয় দিন ঘরের ছাদে কোরবানি দিয়েছেন। তার ঘরের নিচে কোমরসমান পানি। এ জন্য ঈদের দিন ও পরের দিন বের হতে পারেননি। তবে বুধবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি কিছুটা কমায় পানিও কিছুটা কমে গেছে। দুই দিন ঘরবন্দী থাকার পর বুধবার রাতে তিনি বের হতে পেরেছেন।জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, নগর ও জেলার মোট ১২৯টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ২০ হাজার মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য রান্না  ও শুকনা খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে ।  ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে । ৮ জুন  বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত জনসংখ্যা প্রায় সোয়া ৮ লাখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে

রাতে বৃষ্টি না হলেও কমেনি সিলেটে পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি

আপডেট সময় ১২:২২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

অনলাইন নিউজ:

সিলেটে গতকাল বুধবার সারা দিন বৃষ্টির পর রাতে বৃষ্টি হয়নি। তবে এতে পানিবন্দী লোকজনের ভোগান্তি কমেনি। রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে এমন আশা করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে পানিবন্দী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার রাতে বৃষ্টি রেকর্ড হয়নি। সিলেটে আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি আজ সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়া এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টির ওপর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি নির্ভর করছে। পাহাড়ি ঢল নামার ফলে নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।সিলেট নগরের জলাবদ্ধ এলাকাগুলোয় পানি কিছুটা কমলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। নগরের শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, মীরাবাজার, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, তোপখানা, বেতেরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছুদীঘিরপাড় ও মণিপুরি রাজবাড়ি এলাকা জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

রাতে বৃষ্টি না হলেও কমেনি সিলেটে পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি

সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা ফাহাদ মো. হোসেন বলেন, ঈদের দিন থেকে পানিবন্দী অবস্থায় ঘরে ছিলেন। ঈদের দিন পানির জন্য কোরবানি দিতে পারেননি। ঈদের দ্বিতীয় দিন ঘরের ছাদে কোরবানি দিয়েছেন। তার ঘরের নিচে কোমরসমান পানি। এ জন্য ঈদের দিন ও পরের দিন বের হতে পারেননি। তবে বুধবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি কিছুটা কমায় পানিও কিছুটা কমে গেছে। দুই দিন ঘরবন্দী থাকার পর বুধবার রাতে তিনি বের হতে পেরেছেন।জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, নগর ও জেলার মোট ১২৯টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ২০ হাজার মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য রান্না  ও শুকনা খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে ।  ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে । ৮ জুন  বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত জনসংখ্যা প্রায় সোয়া ৮ লাখ।