কয়েক বছর আগে কবর খুঁড়তে দূরের যাত্রায় দ্রুত পৌঁছাতে নিজের ধানি জমি বিক্রি করে একটি ঘোড়া কিনেছিলেন মনু মিয়া। এর পর থেকে ঘোড়াটিই হয়ে উঠেছিল তার পা, চালিকা শক্তি। রোগে কাবু মনু মিয়াকে ১৪ মে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই একরকম মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা চলছে নিঃসন্তান মানুষটির। পাশে ছায়া হয়ে আছেন স্ত্রী রহিমা বেগম।
মুঠোফোনে মনু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ‘উনার (মনু মিয়ার) অবস্থা ভালো না। উনি জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করেননি। এত দিন জানতাম উনাকে মানুষ ভালোবাসে। উনার এমন খারাপ অবস্থায় কী করে এমনভাবে উনার প্রিয় ঘোড়াটিকে মানুষ মেরে ফেলতে পারল। খবরটা আমরা উনাকে দিলে উনি কোনোভাবেই সহ্য করতে পারবেন না।’
মনু মিয়ার সংকটকালে এভাবে তার প্রিয় ঘোড়াটিকে মেরে ফেলা হবে, সেটি কেউ ভাবতেও পারেননি। মনু মিয়ার প্রতিবেশী এস এম রিজন বলেন, মনু মিয়া সারা জীবন নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার অনুপস্থিতিতে তার প্রিয় ঘোড়াটিকে এভাবে দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলল। এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। এ অপরাধের বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার জানান, মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।