ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শিশুর আকিকা দেওয়া নিয়ে যা:শায়খ আহমাদুল্লাহ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, ইসলামে আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলেও, তা না দিলে শিশুর কোনো বিপদ হবে—এমন কোনো কথা কোরআন বা হাদিসে নেই।

এক বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা না দিলে শিশুর বিপদ কাটবে না—এমন ধারণা ইসলামি দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন। তবে, আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এটি সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, নবী করিম (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী, ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করা হয়ে থাকে। এটি নবীজির সুন্নাহ এবং মুসলমানদের উচিত তা পালন করা।

আকিকার সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, “সন্তানের জন্মের ৭ম দিনে আকিকা করা উত্তম। তা সম্ভব না হলে ১৪তম বা ২১তম দিনেও করা যেতে পারে। যদি কোনো কারণে নির্ধারিত দিনে না হয়, তাহলে পরেও যে কোনো সময়ে আকিকা করা যায়।” এমনকি কেউ যদি ছোটবেলায় আকিকা না পায়, বড় হয়ে নিজের পক্ষ থেকেও আকিকা দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “আকিকা না দিলে সন্তান বিপদের মধ্যে থাকবে—এমন কথা কোনো সহিহ হাদিসে নেই। তবে কিছু হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বাচ্চা আকিকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে।” অর্থাৎ, এটি একটি কল্যাণময় আমল, তবে ফরজ নয়।

শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা দিলে সন্তান নানাভাবে উপকৃত হয়, রক্ষা পায় এবং নিরাপদে থাকে। তাই ইসলামী দৃষ্টিতে এটি পালন করা উচিত।”

এই বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে, আকিকা হলো সুন্নাহ এবং কল্যাণকর, কিন্তু তা না দিলে কোনো অশুভ ফল বা বিপদের নিশ্চয়তা নেই।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

শিশুর আকিকা দেওয়া নিয়ে যা:শায়খ আহমাদুল্লাহ

আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, ইসলামে আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলেও, তা না দিলে শিশুর কোনো বিপদ হবে—এমন কোনো কথা কোরআন বা হাদিসে নেই।

এক বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা না দিলে শিশুর বিপদ কাটবে না—এমন ধারণা ইসলামি দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন। তবে, আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এটি সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, নবী করিম (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী, ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করা হয়ে থাকে। এটি নবীজির সুন্নাহ এবং মুসলমানদের উচিত তা পালন করা।

আকিকার সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, “সন্তানের জন্মের ৭ম দিনে আকিকা করা উত্তম। তা সম্ভব না হলে ১৪তম বা ২১তম দিনেও করা যেতে পারে। যদি কোনো কারণে নির্ধারিত দিনে না হয়, তাহলে পরেও যে কোনো সময়ে আকিকা করা যায়।” এমনকি কেউ যদি ছোটবেলায় আকিকা না পায়, বড় হয়ে নিজের পক্ষ থেকেও আকিকা দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “আকিকা না দিলে সন্তান বিপদের মধ্যে থাকবে—এমন কথা কোনো সহিহ হাদিসে নেই। তবে কিছু হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বাচ্চা আকিকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে।” অর্থাৎ, এটি একটি কল্যাণময় আমল, তবে ফরজ নয়।

শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা দিলে সন্তান নানাভাবে উপকৃত হয়, রক্ষা পায় এবং নিরাপদে থাকে। তাই ইসলামী দৃষ্টিতে এটি পালন করা উচিত।”

এই বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে, আকিকা হলো সুন্নাহ এবং কল্যাণকর, কিন্তু তা না দিলে কোনো অশুভ ফল বা বিপদের নিশ্চয়তা নেই।