বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর, আজ থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাগ হাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
গতকাল রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেলা ১টার দিকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে উপাচার্যসহ প্রায় ২০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন এবং মিলনায়তনের সামনে তালা লাগিয়ে দেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ ভিসির বাসভবনের পাশ দিয়ে ২৫০-৩০০ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বহিরাগতরা মিলনায়তনের তালা ভেঙে দেয়।
এতে অবরুদ্ধ শিক্ষকেরা বের হয়ে আসেন। সংঘর্ষে সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং সব শিক্ষার্থীকে সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জুলাই ৩৬ হলের শিক্ষার্থী তাসফিয়া আফরিন হল থেকে বের হন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, ‘জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।’