সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিরে ঈদের ছুটির পর গত ১৫ জুন থেকে টানা মিছিল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। তবে এবার ‘ভালো খবরের আশায়’ আন্দোলনে একদিনের বিরতি দিয়েছেন আন্দোলনরতরা।
এদিন কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ১১টার পর থেকেই কর্মচারী ইউনিয়নের অর্ধশত নেতাকর্মী জনপ্রশাসন লাইব্রেরিতে সমবেত হন। দুই ঘণ্টা বক্তৃতা, মতবিনিময় ও পর্যালোচনা শেষে ঘোষণা দিয়ে তারা নামাজ পড়তে চলে যান।
কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা বাদিউল কবীর বলেন, ‘আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মন্ত্রণালয়গুলোতেও কর্মবিরতি পালন হচ্ছে। আমি ঘুরে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখে এসেছি। আগামীকাল আমরা ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে গণসংযোগ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারাও কালকের মতো চলমান কর্মসূচিতে বিরতি দিয়ে গণসংযোগ শুরু করুন। বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করার জন্য একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।’
এর আগে আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল একজন সাবেক সরকারি আমলাকে জনগণ ধরে কী পরিস্থিতি করেছে আপনারা সবাই দেখেছেন। কাজ করলে কাজের পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হবে। সেটা মাথায় রেখে এখনই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করুন।’
বদিউল কবির আরও বলেন, ‘সরকার যে আমাদের কথা একেবারেই শুনছে না তা কিন্তু নয়। কিছু বিষয় সবার সঙ্গে শেয়ার করি, কিছু বিষয় কৌশলগত কারণে শেয়ার করি না। যেমন আজকেও একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের জরুরি বৈঠক রয়েছে। সেখান থেকে কোনো ভালো খবর আসবে বলে আমরা আশা করি।’
এর আগে গত ২৫ মে, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকেই এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মাঝে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত একটি পর্যালোচনা কমিটি ওই অধ্যাদেশে সংশোধন আনার সুপারিশ করার ইঙ্গিত দিলেও আন্দোলন থামেনি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ওই পর্যালোচনা কমিটিতে রয়েছেন।