গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাবেক এমপি কর্নেল (অব:) ডাঃ আবদুল কাদের খান (৭৮) চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ভাগিনা গাইবান্ধার একটি বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান জানান, সাবেক এমপি লিটন হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি ছিলেন কর্নেল (অবঃ) আবদুল কাদের খান।
কাদের খানের ছেলে ডা. সামিন খান বলেন, ‘ব্রেন স্ট্রোক ছাড়াও নানা রোগে ভুগছিলেন বাবা। টানা তিন মাস ধরে হাসপাতালের আইসিইউর ১২ নাম্বার ও ৪ নাম্বার বেডে তার চিকিৎসা চলে। রবিবার ভোর রাতে তিনি মারা যান।’
এর আগে, গত বছরের জুলাই মাসে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ব্রেন স্ট্রোক করেন তিনি। পরে কয়েক দফায় কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাদের খানকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় দৃর্বৃত্তদের গুলিতে মারা যান। এ ঘটনায় তার বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিগত ২০১৯ গত ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ডাঃ আবদুল কাদের খানসহ ৭ আসামীর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।