সাভারে বাবাকে খুন করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ কল দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন মেয়ে। সাভার পৌর মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায় আব্দুল কাদের বাড়ির ৫ম তলায় বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ঘাতক মেয়ে জানান, গত ২০২২ সালে সিংড়া থানায় পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিল মেয়ে জান্নাত। সেই মামলায় নিহত পিতা দীর্ঘদিন জেলখেটে সম্প্রতি বের হয়ে মেয়ের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার মীমাংসা করে আবার বসবাস শুরু করে সাভারে। কিন্তু বাবা আবারও তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। একইসঙ্গে সেই ধর্ষণ মলার সূত্র ধরেই বাবার সঙ্গে মেয়ে জান্নাতের বনি-বনা হচ্ছিল না।
জান্নাত বলেন, বুধবার রাতে ভাতের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে বাবাকে ভাত দেই। নিহত আব্দুর সাত্তার ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৪টার সময় আমি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করি। পরে পুলিশকে খবর দেই।
আব্দুল কাদেরের বাড়ির কেয়ারটেকার রহিজ উদ্দিন বলেন, গত ৫ মাস আগে বাবা ও মেয়ে ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমরান হোসেন বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহতের মেয়ে জান্নাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া যুগান্তরকে জানান, পিতার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। এর জের ধরেই মেয়েটি এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে।