সিইউএফএল শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ব্যানারে হওয়া বিক্ষোভ শেষে ফটকের সামনে সমাবেশ হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, একই কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য দুটি বেতনকাঠামো চালু থাকায় বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারখানার উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করে। তাদের সঙ্গে এমন বৈষম্য মেনে নেবেন না।
কারখানার মাস্টার অপারেটর সৈয়দ আসলাম আলী এ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন। আরেক মাস্টার অপারেটর শ্যামল কান্তি নাথের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম, সহসভাপতি হারুনুর রশীদ, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম মজুমদার, সিইউএফএল এমপ্লয়িজ ক্লাবের সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কারখানাটি চালু থাকলে দৈনিক ১১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। প্রতি মেট্রিক টন সার ৩৮ হাজার টাকা। সেই হিসাবে কারখানাটিতে দৈনিক ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার সার উৎপাদিত হয়। তবে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল গ্যাসের অভাবে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে আবার সার উৎপাদন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম বলেন, জাতীয় মজুরি কমিশন থেকে জাতীয় বেতন কমিশনে স্থানান্তর করলে করপোরেশনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে না। তাই বিসিআইসির অধীন সব টেকনিশিয়ান ও অপারেটরকে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করে একই বেতন স্কেলে নিয়ে আসতে হবে। বিসিআইসির পরিচালনা পর্ষদ ও মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।