ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সিঁধ কেটে নারীর মুখ বেঁধে চুরি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার গভীর রাতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শাহজাহান মাষ্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, তার স্বামী মিজানুর রহমান মুন্সী পেশায় রিকশাচালক। বর্তমানে নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকায় রিকশা চালান। স্বামী বাড়িতে না থাকায় সাত বছর বয়সি এক নাতিকে নিয়ে থাকেন তিনি।

প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতেও খাবার খেয়ে নাতিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাত আনুমানিক ২টার দিকে চারজন চোর সিঁধ কেটে তার ঘরে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে ওই গৃহবধূর মুখ বেধে ফেলেন তারা। এ সময় ওই শিশুর গলায় ছুরি ধরে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে বলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পুরো ঘর তল্লাশির পর কিছু নগদ টাকা ও দুই জোড়া কানের দুল নিয়ে চলে যান চোরেরা। এরপর ওই গৃহবধূ ও শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।

স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মো. শাহজাহান বলেন, ‘বিগত ২০ বছরের মধ্যে আমাদের এলাকায় কখনো এমন চুরি হয়নি।’

কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিঁধ কেটে নারীর মুখ বেঁধে চুরি

আপডেট সময় ১১:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার গভীর রাতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শাহজাহান মাষ্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, তার স্বামী মিজানুর রহমান মুন্সী পেশায় রিকশাচালক। বর্তমানে নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকায় রিকশা চালান। স্বামী বাড়িতে না থাকায় সাত বছর বয়সি এক নাতিকে নিয়ে থাকেন তিনি।

প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতেও খাবার খেয়ে নাতিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাত আনুমানিক ২টার দিকে চারজন চোর সিঁধ কেটে তার ঘরে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে ওই গৃহবধূর মুখ বেধে ফেলেন তারা। এ সময় ওই শিশুর গলায় ছুরি ধরে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে বলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পুরো ঘর তল্লাশির পর কিছু নগদ টাকা ও দুই জোড়া কানের দুল নিয়ে চলে যান চোরেরা। এরপর ওই গৃহবধূ ও শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।

স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মো. শাহজাহান বলেন, ‘বিগত ২০ বছরের মধ্যে আমাদের এলাকায় কখনো এমন চুরি হয়নি।’

কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’