সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দুই মহল্লায় হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব। এতে গত এক মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার সাপ্লাই পানি পান করেই এই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। জীবাণুযুক্ত পানি পানের কারণেই ডায়রিয়া আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।
তবে জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পরীক্ষার পানিতে কোনো জীবানু পাওয়া যায়নি আর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে সঠিক কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পৌরসভা।
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি এবং হোসেনপুর মহল্লায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এ সব এলাকার অধিকাংশ মানুষ পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি পান করে থাকেন। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকাগুলোর অনেক স্থান নিচু; সেইসঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। এই ড্রেনেজের সঙ্গে অনেক বাড়ির পয়োনিষ্কাশনের সংযোগ স্থাপন রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি এবং হোসেনপুর মহল্লায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এ সব এলাকার অধিকাংশ মানুষ পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি পান করে থাকেন। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকাগুলোর অনেক স্থান নিচু; সেইসঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। এই ড্রেনেজের সঙ্গে অনেক বাড়ির পয়োনিষ্কাশনের সংযোগ স্থাপন রয়েছে।
পৌরসভার এই দুই এলাকায় হঠাৎ করে আশঙ্কাজনকভাবে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব। গত এক মাসে এই দুই মহল্লা থেকে ডাইরিয়ার আক্রান্ত প্রায় ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্থানীয় ধানবান্ধী এলাকার সৈকত বলেন, ‘পৌরসভার সাপ্লাই পানির ট্যাংকি পুরাতন, অনেক স্থানে পাইপে লিকেজ থাকায় পানির সঙ্গে নোংরা, আর্বজনা মিশে পানিতে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর এই পানি পান করায় ডায়রিয়া ছড়িয়েছে।’
আরেক বাসিন্দা রিফাত হোসেন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনো অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হঠাৎ করে কেন এত লোকের ডায়রিয়া হলো সে বিষয়টি খুঁজে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান তিনি।
তবে জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর পৌরসভার সাপ্লাই পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে কোনো জীবাণু পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সাপ্লাই পানি দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের কারণে এই রোগ ছড়াতে পারে। তবে কেন হঠাৎ করে পৌরসভায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো তা দ্রুত অনুসন্ধানের পাশাপাশি পুরাতন পানির ট্যাংকি ও পাইপ সংস্কার করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে সাপ্লাই পানির গ্রাহক সংখ্যা চার হাজার ৫৩৭টি।