ময়মনসিংহ , সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুর্গাপূজায় কোথাও নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ৪ দেশের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানালো এবার বুলবুলের চিঠির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট এবারের পূজায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ধনাঢ্যদের পেটে হতদরিদ্র নারীদের চাল ডাকসু নির্বাচনে বারবার মবের শিকার হয়েছে ছাত্রদলের প্রার্থীরা বললেন আবিদ তাহসান অভিনয়ের পর এবার সংগীতেও ইতি টানলেন, কনসার্টে আবেগঘন বিদায় ঘোষণা এনসিপিসহ ৬ রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে সুদ কারবারি ১৫ হাজার টাকার জন্য লাশ আটকে রাখলেন ‘এটা স্লিপ অফ টাং, আমি তো ইচ্ছা করে বলিনি’ আমির হামজা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সুদ কারবারি ১৫ হাজার টাকার জন্য লাশ আটকে রাখলেন

  • ডিজিটাল রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে ঘটেছে এক চরম হৃদয়বিদারক ও অমানবিক ঘটনা। রাজমিস্ত্রি হারুনের (৪৫) মরদেহ দাফনের আগে আটকে রেখে আদায় করা হয়েছে সুদের টাকা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে যান রাজমিস্ত্রি হারুন। রোববার সকালে হঠাৎ স্ট্রোক করে মৃত্যু হয় তার। পরে মরদেহ দামুড়হুদার নিজ গ্রাম চিৎলায় আনা হলে আছরের নামাজের পর দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় লাশ গোসল করার মুহূর্তে প্রতিবেশী প্রয়াত মোহন আলীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন এসে দাবি করেন, হারুনের কাছে তার সুদের ১৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা পরিশোধ না করলে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন তিনি।

মারা যাওয়া হারুনের চাচাতো ভাই মতিনুর ইসলাম মানিক জানান, দেড় মাস আগে হারুন মর্জিনার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা ব্যবসার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু রোববার সকালে লাশ গোসলের সময় মর্জিনা দাবি করেন, সুদসহ ২২ হাজার টাকা তিনি পাবেন। পরিবার অনুরোধ করে দাফনের পর বিষয়টি মিটমাট করার কথা বললেও মর্জিনা রাজি হননি। এমনকি পরিবার একটি গরু জামানত হিসেবে রেখে পরে নগদ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। শেষ পর্যন্ত দরকষাকষি করে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয় পরিবারকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, ‘মূল টাকা হারুন জীবিত থাকতেই পরিশোধ করেছিলেন। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় করা সমাজের চোখে ন্যাক্কারজনক, ঘৃণিত ও লজ্জাজনক কাজ। মর্জিনা দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসার আড়ালে মানুষকে সর্বনাশ করে আসছেন।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার খবর আমাদের জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এনএন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুর্গাপূজায় কোথাও নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদ কারবারি ১৫ হাজার টাকার জন্য লাশ আটকে রাখলেন

আপডেট সময় ১১:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে ঘটেছে এক চরম হৃদয়বিদারক ও অমানবিক ঘটনা। রাজমিস্ত্রি হারুনের (৪৫) মরদেহ দাফনের আগে আটকে রেখে আদায় করা হয়েছে সুদের টাকা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে যান রাজমিস্ত্রি হারুন। রোববার সকালে হঠাৎ স্ট্রোক করে মৃত্যু হয় তার। পরে মরদেহ দামুড়হুদার নিজ গ্রাম চিৎলায় আনা হলে আছরের নামাজের পর দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় লাশ গোসল করার মুহূর্তে প্রতিবেশী প্রয়াত মোহন আলীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন এসে দাবি করেন, হারুনের কাছে তার সুদের ১৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা পরিশোধ না করলে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন তিনি।

মারা যাওয়া হারুনের চাচাতো ভাই মতিনুর ইসলাম মানিক জানান, দেড় মাস আগে হারুন মর্জিনার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা ব্যবসার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু রোববার সকালে লাশ গোসলের সময় মর্জিনা দাবি করেন, সুদসহ ২২ হাজার টাকা তিনি পাবেন। পরিবার অনুরোধ করে দাফনের পর বিষয়টি মিটমাট করার কথা বললেও মর্জিনা রাজি হননি। এমনকি পরিবার একটি গরু জামানত হিসেবে রেখে পরে নগদ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। শেষ পর্যন্ত দরকষাকষি করে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয় পরিবারকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, ‘মূল টাকা হারুন জীবিত থাকতেই পরিশোধ করেছিলেন। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় করা সমাজের চোখে ন্যাক্কারজনক, ঘৃণিত ও লজ্জাজনক কাজ। মর্জিনা দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসার আড়ালে মানুষকে সর্বনাশ করে আসছেন।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার খবর আমাদের জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এনএন