নুর মোহাম্মদ ওরফে নয়ন (২৯) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। নিহত মৌমিতা আক্তার লতা (২৩) পার্শ্ববর্তী চাচীয়া মীরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, বিয়ের আট মাস পর যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে স্ত্রী মৌমিতাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন নয়ন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মৌমিতার সঙ্গে নয়নের বিয়ে হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদার রহমান মাসুদ জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মৌমিতাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন নয়ন। শেষ পর্যন্ত যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ মৌমিতার মরদেহ উদ্ধার করে এবং নয়নের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত নয়নকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি ন্যায়বিচারের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
মৌমিতার পরিবারের সদস্যরা রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, এ রায় সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।