আজ (১৫ মার্চ) সকাল পৌনে ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়। পরে সমাবেশ থেকে সাত দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
তবে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ এবং উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর একাংশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে দিয়ে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ছাড়া গণমিছিলে লাকি আক্তারের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সমাবেশে তাকে দেখা যায়নি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, ‘শুধু গত সাত মাসেরই নই, আমরা আওয়ামী লীগের সময়েরও খুন ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার দাবি করছি। সাগর-রুনি, তনু, মুনিয়া, আফসানা কোনো হত্যাকাণ্ডেরই এখনো বিচার হয়নি। সরকারের কাজ ছিল অভ্যুত্থানের আহতদের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা করা। কিন্তু সরকার নতুন দল নিয়ে ব্যস্ত। তারা এখন পর্যন্ত গণহত্যাকারীদের বিচার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
এ সবের বিরুদ্ধে নামলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের নানাভাবে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা দমে যাব না। দাবি না মানলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজন হলে দেশের এবং রাজধানীর প্রত্যেকটা স্থানে আন্দোলন গড়ে তুলব।’
গণমিছিল স্থগিত করার কথা জানিয়ে মাহির শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমাদের বারবার সংক্ষেপে শেষ করার জন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বঘোষিত শহীদ মিনার থেকে টিএসসি গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।’