ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতেই বিক্ষোভ-মিছিল বের করেন রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হলে । দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যর্থ’ দাবি করে ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ চান তারা।
এর কিছুক্ষণ পরেই রাত ৩টার দিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় তার পদত্যাগের দাবির বিষয়টি তুলে ধরলে জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার পদত্যাগের দাবি তো আজই প্রথম না।
তখন তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যে কারণে আমার পদত্যাগ দাবি করছে, আমি যদি সে বিষয়গুলো উন্নতি করে দিতে পারি… তাহলে তো আর পদত্যাগের প্রশ্ন থাকছে না। ’
রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে ডাকা এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, যারা তার পদত্যাগ চাইছেন, তারা মূলত চাইছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।
‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন উন্নতি হয়, এই ব্যবস্থা আমি করবো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে এবং এটা আরো উন্নতি হতে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
মা-বোনদের ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে বলেন, ‘মা বোনদের বিষয়ে সব সময় আমরা অবগত আছি।তাদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেদিকে আমরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ আছি।’
এ সময় তারা, ‘জুলাই রক্তের দাম চাই, নিরাপদ দেশ চাই’, ‘এক-দুই-তিন-চার, জাহাঙ্গীর গদি ছাড়’, ‘দফা এক দাবি এক, জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ’ ,’মা-বোনদের নিরাপত্তা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, সারা দেশে সন্ত্রাস কেন, প্রশাসন জবাব দে’,সহ একাধিক স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সারা দেশে চলমান চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে তার এই পদে থাকার আর কোনো যোগ্যতা নেই।