ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্ত্রী রিক্তা বেগমের (৩০) লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে মৃতের পরিবার হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। রিক্তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
রিক্তা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পাঁচকুল গ্রামের আজিজ শিকদারের মেয়ে ও পাশ্ববর্তী দীঘলকান্দা গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে জাকির মোল্লার স্ত্রী।
মৃতের বোন হাফিজা আক্তার জানান, পারিবারিকভাবে ১২ বছর আগে রিক্তা ও জাকিরের বিয়ে হয়। এরপর থেকে রিক্তাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে রিক্তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে ঘরে আটকিয়ে রাখে। সেদিন রাতে গোপনে রিক্তাকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তিনি মারা যান। রিক্তা মারা যাওয়ার পর তার লাশটি হাসপাতালে রেখে সবাই পালিয়ে যায়।
‘মঙ্গলবার দুপুরে আমাদের জাকির ফোন দিয়ে জানান, রিক্তা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে, ফরিদপুর হাসপাতালে আসেন। পরে আমরা ফরিদপুর মেডিকেলে গিয়ে রিক্তার মরদেহ দেখতে পাই। মৃতের পেটে, মাথায়, হাতে ও কানেসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ আমার বোনকে জাকির ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত জাকির মোল্লা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’