ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এবার যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগে খেলবেন সাকিব আল হাসান আ.লীগ ধর্মের বিভাজন সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন টুকু এক মাসে আয় সাড়ে ৬ লাখ ডলার হিলি স্থলবন্দরে কোনো দল চায় আর না চায়, আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবেই বললেন গোলাম পরওয়ার বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোবে বলেছেন সালাহউদ্দিন জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ বন্ধ করতে পারবে না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যারা নির্বাচন বিলম্ব করতে চায়, তারা গণতন্ত্রের শক্তি নয় বললেন সালাহউদ্দিন হাতির আঘাতে আহত চিকিৎসকদের হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো নবজাতকের মৃত্যু অ্যাম্বুলেন্স আটকে : সবুজ দেওয়ান গ্রেপ্তার মূল হোতা সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারের মরদেহ উদ্ধার
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

১১ মাস বেতন নেই, ৫৩ জনের চাকরিটাও নেই হঠাৎ জানলেন

আমার এক ছেলে মাদরাসায় পড়ে। ১১ মাস বেতন নেই, ছেলের মাদরাসার খরচও দিতে পারছি না। যে হাতে ভাত খাই, সেই হাত দিয়েই মানুষের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করি। তবুও আমাদের ভাগ্যে এত দুর্দশা। দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এতদিন পর এসে এখন শুনছি চাকরিই নেই। এই বয়সে এসে অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করব সেই সুযোগও নেই। এ খবরে আমরা সকলে দিশেহারা হয়ে গেছি। এভাবে হতাশার কথা বলছিলেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত বিবি কুলসুম নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বিবি কুলসুমের মতো এমন একই গল্প হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা আরও ৫৩ জনের।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন ৫৩ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী রয়েছেন। ইতোপূর্বে সরকার থেকে তাদের জন্য ২১ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন বরাদ্দ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেতন দিয়েছেন ৮ হাজার টাকা। তাও ছিল অনিয়মিত। পরবর্তীতে হাসপাতালের চাহিদা পূরণের জন্য আরও ২৯ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও এদের কাউকেই বেতন-ভাতা দেয়নি ঠিকাদার। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ১০/২০ টাকা করে নিয়ে কোনোরকমে দিনযাপন করছিলেন তারা। সবশেষ সোমবার (২ জুন) তাদের বকেয়া বেতন ও চাকরির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো বার্তা ও চাকরি না থাকার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইলিয়াস নামে এক আউটসোর্সিং কর্মচারী বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শর্শদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম আমাদের বেতন দিতেন ৩ হাজার ২০০ টাকা। পরে আমরা আন্দোলন করলে তিনি ৬ হাজার টাকা বেতন দেন। তারপর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর অন্যতম ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত শরীফ উল্যাহ এসে বেতন ৮ হাজার টাকা করলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে থেকেই আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এত কিছুর মধ্যেও মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। কিন্তু এখন নাকি আমাদের চাকরিই নেই।

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের অনুপস্থিতিতে হাসপাতালের শৃঙ্খলায় প্রভাব পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তারা থাকলে থাকতে পারেন, অথবা চলে যেতে পারেন-কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে এমনটিই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আমাদের অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবার যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগে খেলবেন সাকিব আল হাসান

১১ মাস বেতন নেই, ৫৩ জনের চাকরিটাও নেই হঠাৎ জানলেন

আপডেট সময় ১১:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আমার এক ছেলে মাদরাসায় পড়ে। ১১ মাস বেতন নেই, ছেলের মাদরাসার খরচও দিতে পারছি না। যে হাতে ভাত খাই, সেই হাত দিয়েই মানুষের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করি। তবুও আমাদের ভাগ্যে এত দুর্দশা। দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এতদিন পর এসে এখন শুনছি চাকরিই নেই। এই বয়সে এসে অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করব সেই সুযোগও নেই। এ খবরে আমরা সকলে দিশেহারা হয়ে গেছি। এভাবে হতাশার কথা বলছিলেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত বিবি কুলসুম নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বিবি কুলসুমের মতো এমন একই গল্প হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা আরও ৫৩ জনের।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন ৫৩ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী রয়েছেন। ইতোপূর্বে সরকার থেকে তাদের জন্য ২১ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন বরাদ্দ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেতন দিয়েছেন ৮ হাজার টাকা। তাও ছিল অনিয়মিত। পরবর্তীতে হাসপাতালের চাহিদা পূরণের জন্য আরও ২৯ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও এদের কাউকেই বেতন-ভাতা দেয়নি ঠিকাদার। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ১০/২০ টাকা করে নিয়ে কোনোরকমে দিনযাপন করছিলেন তারা। সবশেষ সোমবার (২ জুন) তাদের বকেয়া বেতন ও চাকরির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো বার্তা ও চাকরি না থাকার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইলিয়াস নামে এক আউটসোর্সিং কর্মচারী বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শর্শদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম আমাদের বেতন দিতেন ৩ হাজার ২০০ টাকা। পরে আমরা আন্দোলন করলে তিনি ৬ হাজার টাকা বেতন দেন। তারপর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর অন্যতম ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত শরীফ উল্যাহ এসে বেতন ৮ হাজার টাকা করলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে থেকেই আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এত কিছুর মধ্যেও মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। কিন্তু এখন নাকি আমাদের চাকরিই নেই।

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের অনুপস্থিতিতে হাসপাতালের শৃঙ্খলায় প্রভাব পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তারা থাকলে থাকতে পারেন, অথবা চলে যেতে পারেন-কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে এমনটিই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আমাদের অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।