ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে বললেন প্রধান উপদেষ্টা লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির গোলাম পরওয়ারের দাবি হাসিনার রায় ঘিরে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি, বিজয় দিবসেও আশঙ্কা নেই বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয় বললেন রাশেদ শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে বললেন রুমিন ফারহানা নির্বাচন কমিশন গণভোট আয়োজনের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি পলিথিন কারখানায় আগুন নারায়ণগঞ্জে সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না বললেন রুনা লায়লা ইসি জামায়াত-এনসিপিসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ৬০ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

৬০ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরীর নামে থাকা মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার কেনা হয়েছিল—এমন প্রমাণ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ করা হয়।

সিআইডি জানায়, অবরুদ্ধ এসব শেয়ারের বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, অভিযুক্তদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব এবং তাদের কাগুজে প্রতিষ্ঠান Steadfast Management Trading Limited–এর নামে মোট ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ২০০ শেয়ার ক্রয় করা হয়, যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। উক্ত শেয়ার পরে স্টক ডিভিডেন্ড যোগ হয়ে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টিতে উন্নীত হয়।

অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, জালিয়াতি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ অর্জন করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করা হয় এবং পুনরায় দেশে এনে বৈধ করার চেষ্টা করা হয়-মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে মোট ২ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৪ মার্কিন ডলার দেশে আনা হয়। এই টাকা অভিযুক্তদের সহযোগী আবুল কাসেমের মাধ্যমে ব্যাংকের এফসি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরবর্তীতে ইমরানা জামান চৌধুরী এবং Steadfast Management Trading Limited–এর নামে মোট ৬০ কোটি টাকা নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করা হয়। ওই অর্থ কমিউনিটি ব্যাংকের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ৫৯.৯৫ কোটি টাকা ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ে ব্যবহার করা হয়।

“Steadfast Management Trading Limited” নামীয় প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপল পালকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিলকে পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে। উভয়েই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মচারী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী-এমন তথ্য সিআইডির অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত গত ১৮ নভেম্বর ২০২৫ সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই অনুসন্ধান পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অবৈধ অর্থের উৎস চিহ্নিতকরণ এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

৬০ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের

আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরীর নামে থাকা মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার কেনা হয়েছিল—এমন প্রমাণ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ করা হয়।

সিআইডি জানায়, অবরুদ্ধ এসব শেয়ারের বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, অভিযুক্তদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব এবং তাদের কাগুজে প্রতিষ্ঠান Steadfast Management Trading Limited–এর নামে মোট ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ২০০ শেয়ার ক্রয় করা হয়, যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। উক্ত শেয়ার পরে স্টক ডিভিডেন্ড যোগ হয়ে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টিতে উন্নীত হয়।

অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, জালিয়াতি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ অর্জন করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করা হয় এবং পুনরায় দেশে এনে বৈধ করার চেষ্টা করা হয়-মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে মোট ২ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৪ মার্কিন ডলার দেশে আনা হয়। এই টাকা অভিযুক্তদের সহযোগী আবুল কাসেমের মাধ্যমে ব্যাংকের এফসি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরবর্তীতে ইমরানা জামান চৌধুরী এবং Steadfast Management Trading Limited–এর নামে মোট ৬০ কোটি টাকা নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করা হয়। ওই অর্থ কমিউনিটি ব্যাংকের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ৫৯.৯৫ কোটি টাকা ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ে ব্যবহার করা হয়।

“Steadfast Management Trading Limited” নামীয় প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপল পালকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিলকে পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে। উভয়েই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মচারী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী-এমন তথ্য সিআইডির অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত গত ১৮ নভেম্বর ২০২৫ সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই অনুসন্ধান পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অবৈধ অর্থের উৎস চিহ্নিতকরণ এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।