আহত শাহাজাহান মিন্টিজ ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘ছিডু চোরার’ ছেলে। কয়েক বছর আগে কারাগারে ছিড়ুর মৃত্যু হয়।
গ্রামবাসীর দাবি, শাহাজাহান চোর চক্রের সরদার। তবে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেছেন, সন্দেহজনকভাবে তাকে তুলে নিয়ে মারধরের করে হাত-পা ভেঙে দেয়া ও দুই চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। মাঝের চর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা লোকমান হোসেনের ছেলে মো. সাকিব এবং তার দলবল এ কাজে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান,শাহাজাহানের পরিবার বহু আগে থেকে চুরি-ডাকাতিতে জড়িত। তার বাবা ছিডু ছিলেন পেশাদার চোর। শাহাজাহান ভোলার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক বাড়িতে চুরি হয়। রোববার সকালে শাহাজাহানকে চর আরকলমী গ্রামের নিজের বাড়িতে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে এবং জাহাঙ্গীর ফরাজির বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তাকে ওই গ্রামের বারেক ফরাজির বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়া এবং দুই চোখ তুলে ফেলা হয়। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ সোরহাব হোসেন কয়েকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠান।
শাহাজাহানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা লোকমান হোসেনের ছেলে সাকিবের নেতৃত্বে লোকজন ধাওয়া করে জাহাঙ্গীর ফরাজির বাড়ি থেকে মিন্টিজকে আটক করে। পরে তাকে বারেক ফরাজির বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় এবং চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ তুলে ফেলে। ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলেও ভয়ে পরিচয় দিতে পারেননি বলে জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. সাকিব বলেন, ‘শাহাজাহান পেশাদার চোর এবং চোর চক্রের সরদার। স্থানীয়রা তাকে দেখে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণধোলাই এবং চোখ তুলে দিয়েছে বলে শুনেছি।’
চরফ্যাসন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘শাহাজাহান নামের ওই ব্যক্তির হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’