বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরস চলাকালে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল (১৬ মার্চ) রাত সোয়া ১২টার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আমতলী পৌর শহরের বটতলায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরস উৎযাপন করে আসছে এবং রোববার সন্ধ্যায় ২৮ তম ওরস শুরু হয়। ওইদিন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলীর সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক এসে ওরস বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজার খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরস বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন।
খবর পেয়ে আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অপর দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আমতলী ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘বেশ কিছু সমর্থকসহ আমি ও আমাদের সাধারণ সম্পাদক গিয়ে মাজারে খাদেমকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পুজা ও গানবাজনা করতে নিষেধ করি। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ হন এবং একপর্যায়ে তার ভক্তবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের গায়ে হাত তুললে উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজার ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।’
আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আমতলী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুইটি ঘর পুড়ে গেছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’