ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, এসইউএফ মুকরেমা রেজা’র মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবারবর্গের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যাথী। একজন স্নেহশীল মাতা হিসেবে তিনি গভীর মাতৃস্নেহ ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তার সন্তানদের সুশিক্ষিত ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। পরহেজগার ও পরোপকারী নারী হিসেবেও তিনি এলাকার সকলের নিকট ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়।
তারেক লিখেছেন, মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করি তিনি যেন মরহুমার শোকাহত পরিবারবর্গকে এই মৃত্যুশোক সহ্য করার ক্ষমতা দান করেন। আমি এসইউএফ মুকরেমা রেজা’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
মুকরেমা রেজা শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। খবর পেয়ে ঈদের আগের দিন গত ৩০ মার্চ লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরেন তার একমাত্র মেয়ে কোকোর সহধর্মিণী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি। মালয়েশিয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালে কোকো মারা যাওয়ার পর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানকে নিয়ে লন্ডনে থাকেন সিঁথি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার বাদ আসর বনানী ডিওএইচএস মাঠে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে মুকরেমা দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্বামী এইচ এম হাসান রেজা ২০১৭ সালের মার্চ মাসে মারা যান। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- সাবেক ডিআইটি’র প্রকৌশলী ছিলেন।