ময়মনসিংহ , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আইসিটি মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে বললেন তথ্য উপদেষ্টা আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল বললেন তামিম প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে বললেন দুদু কেনাকাটায় ৪ কোটি টাকার অনিয়ম,পশ্চিমাঞ্চল রেল ভবনে দুদকের অভিযান সংস্কার হলে শ্রম খাতের ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বললেন শ্রম উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮২ জনের চাকরির সুযোগ ২৮ জনকে হত্যায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রামপুরায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আবারও বৈঠকে বসছে কমিশন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

‘হ্যাঙ্গা’ জালে মাছ ধরা কুতুবদিয়ার পুরাতন ঐতিহ্য

  • বাবু চৌধুরী
  • আপডেট সময় ১২:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংবাদ: ত্রি-কোণা বিশিষ্ট এ জাল দিয়ে মাছ ধরার চিত্র নতুন নয়। কেউ বলেন ‘হ্যাঙ্গা জাল’ আবার কেউ বলেন ‘ঠেলা জাল’।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৬টি ইউনিয়নের ‘হ্যাঙ্গা’ জালে মাছ ধরা হলো পুরাতন ঐতিহ্য। বর্ষা মৌসুমে এই জালের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সব বয়সী মানুষ এ জাল দিয়ে মাঝ ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অনেকেই এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উপজেলার বড়ঘোপ আজম কলোনী গ্রামের কোখন (৬০) বলেন, হ্যাঙ্গা জাল তিন ধরনের হয়ে থাকে। ছোট, মাঝারি ও বড়। ছোট হ্যাঙ্গা দিয়ে শিশুরা এমনকি গ্রামের নারীরাও মাছ ধরে তাকে। মাঝারি হ্যাঙ্গা দিয়ে তরুণরা মাছ ধরে আর বড় হ্যাঙ্গা দিয়ে স্বাভাবিক বয়সের মানুষ এবং পেশাজীবিরা মাছ ধরে থাকে। একটি হ্যাঙ্গা জাল তৈরি করতে পাঁচশত থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।

স্থানীয় একজন মাছ শিকারী প্রতিনিধিকে জানান যে, হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা পুরাতন একটি ঐতিহ্য। সাধারণত আমাদের কুতুবদিয়ায় কোনও মৌসুম লাগেনা এই জাল দিয়ে মাছ ধরতে। বৃষ্টির পানি নামলে গ্রামের খালে-বিলে এ হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষ কুতুবদিয়ার পূর্বে মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেলে সাগরের কিনারায় অথবা পাইলট কাটা খালসহ উপজেলার বিভিন্ন খালে এই জাল দিয়ে মাছ ধরে।

উপজেলার আজম কলোনী গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আহসান হাবিব বলে, হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। খুব ভালো লাগে, আনন্দ লাগে। আধা কেজি থেকে এক কেজি পযর্ন্ত মাছ ধরা যায় সহজেই।

ওই গ্রামের গৃহবধু গুন্নু বেগম (৩০) জানান, তারাও বাড়ির পাশে হ্যাঙ্গা দিয়ে মাছ ধরেন। বর্ষাকালে বাড়ির আশেপাশে চারদিকে পানি উঠায় মাছের বিচরণ বেড়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার অভ্যাস গড়ে উঠে তাদের।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসিটি মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

‘হ্যাঙ্গা’ জালে মাছ ধরা কুতুবদিয়ার পুরাতন ঐতিহ্য

আপডেট সময় ১২:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

অনলাইন সংবাদ: ত্রি-কোণা বিশিষ্ট এ জাল দিয়ে মাছ ধরার চিত্র নতুন নয়। কেউ বলেন ‘হ্যাঙ্গা জাল’ আবার কেউ বলেন ‘ঠেলা জাল’।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৬টি ইউনিয়নের ‘হ্যাঙ্গা’ জালে মাছ ধরা হলো পুরাতন ঐতিহ্য। বর্ষা মৌসুমে এই জালের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সব বয়সী মানুষ এ জাল দিয়ে মাঝ ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অনেকেই এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উপজেলার বড়ঘোপ আজম কলোনী গ্রামের কোখন (৬০) বলেন, হ্যাঙ্গা জাল তিন ধরনের হয়ে থাকে। ছোট, মাঝারি ও বড়। ছোট হ্যাঙ্গা দিয়ে শিশুরা এমনকি গ্রামের নারীরাও মাছ ধরে তাকে। মাঝারি হ্যাঙ্গা দিয়ে তরুণরা মাছ ধরে আর বড় হ্যাঙ্গা দিয়ে স্বাভাবিক বয়সের মানুষ এবং পেশাজীবিরা মাছ ধরে থাকে। একটি হ্যাঙ্গা জাল তৈরি করতে পাঁচশত থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।

স্থানীয় একজন মাছ শিকারী প্রতিনিধিকে জানান যে, হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা পুরাতন একটি ঐতিহ্য। সাধারণত আমাদের কুতুবদিয়ায় কোনও মৌসুম লাগেনা এই জাল দিয়ে মাছ ধরতে। বৃষ্টির পানি নামলে গ্রামের খালে-বিলে এ হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষ কুতুবদিয়ার পূর্বে মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেলে সাগরের কিনারায় অথবা পাইলট কাটা খালসহ উপজেলার বিভিন্ন খালে এই জাল দিয়ে মাছ ধরে।

উপজেলার আজম কলোনী গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আহসান হাবিব বলে, হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। খুব ভালো লাগে, আনন্দ লাগে। আধা কেজি থেকে এক কেজি পযর্ন্ত মাছ ধরা যায় সহজেই।

ওই গ্রামের গৃহবধু গুন্নু বেগম (৩০) জানান, তারাও বাড়ির পাশে হ্যাঙ্গা দিয়ে মাছ ধরেন। বর্ষাকালে বাড়ির আশেপাশে চারদিকে পানি উঠায় মাছের বিচরণ বেড়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার অভ্যাস গড়ে উঠে তাদের।