অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের অংশিজন যারা তারাই সরকার গঠন করবে। এটাই নিয়ম। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে ড. ইউনূসের কতখানি ভূমিকা ছিল এটি একটি প্রশ্ন। তবে অভ্যুত্থানের যারা অংশিজন, যারা এই অভ্যুত্থানকে সফল করেছে তাদের প্রত্যেকের প্রত্যাশিত ও সমর্থিত একজন ব্যক্তি তিনি। আমরা সবাই তার নেতৃত্ব মেনে নিয়েছি। অবশ্যই তিনি আমাদের অবিভাবক, আমরা তাকে পেয়ে ধন্য হয়েছি।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকার পরিবর্তনের দুটি পন্থা হতে পারে। ১. গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে, ২. অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে যে সরকার আছে, তারাও বৈধ। বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে বা সংকটে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে পারে। তবে অভ্যুত্থানের অংশিজন সবাই সরকারে নেই, যারা আছেন তারা সবাই অভ্যুত্থানে ছিলেন না। তাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা আগে সচিব ছিলেন, তারা কাজগুলো বোঝেন তাই তাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কিছু ছাত্রকেও সরকারে বসানো হয়েছে। সুতরাং, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক উপদেষ্টাই জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকেই ধারণ করেন না।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় দেশে উন্নয়ন হলেও ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে হচ্ছে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি। সুতরাং, এসময়ে সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলাম্বত করার কোনো অর্থ নেই। গত ৮ মাসে তো আমি সংস্কারের স-ও দেখলাম না।