কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জুয়ায় আসক্ত ও মাদকাসক্ত ছেলে বিপ্লব হোসেনকে (৩৬) থানায় দিলেন বাবা নুরুল ইসলাম। বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছেলেকে আসামী করে ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
আজ (৩০ এপ্রিল) সকালে জুয়ায় আসক্ত ও মাদকাসক্ত বিপ্লব হোসেনকে কুষ্টিয়া আদালতে প্রেরণ করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করে। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তার মা জুলেখা বেগমকেও হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেয়।
আরও জানা যায়, অনলাইন জুয়ার ডিলারদের লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রত্যেকটি পরিবার এ খেলায় যুক্ত হয়ে পথে বসেছেন। অনেক পরিবার। গ্রামগুলো অনলাইন জুয়ার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। একাধিক ডিলারদের তত্বাবধানে এ নেশায় আকৃষ্ট হয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। যার ফলে পারিবারিকভাবে অশান্তি, বিবাহবিচ্ছেদ, কলহসহ ও পড়াশোনা বিমুখ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। অনলাইন জুয়ার ভয়াল এ গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
করেছেন সাধারণ মানুষ।
অর্থের লোভে পড়ে আসক্ত হচ্ছেন শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ শিক্ষার্থী ও তরুণরা। জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন তাদের অনেকে। এতে বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ। এ সুযোগে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন অনলাইন জুয়াচক্রের ডিলাররা, হয়েছেন লাখ লাখ টাকার মালিক।
চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে তরুণ ও যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনার দাবি এলাকাবাসীর।
বিপ্লব হোসেনের ছোট ভাই ইখলাস হোসেন বলেন, আমাদের সোনার সংসারকে নষ্ট করেছে সে। বিপ্লব হোসেন লাখ লাখ টাকা জুয়া খেলে শেষ করেছে।
বিপ্লব হোসেনের বোন বন্যা খাতুন বলেন, সংসার বিমুখ বিপ্লব হোসেন বাবার থেকে জোর করে সম্পত্তি লিখে নেয়। জমি বিক্রির টাকা জুয়ায় ও মাদকের পেছনে তা খরচ করে। জুয়ার টাকা জোগাতে সে আমার বাবা আর
মা কে নির্যাতন করতো।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, বাবা নুরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। সেই মামলায় বিপ্লব হোসনকে গ্রেফতার ও আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।