পিরোজপুরের কাউখালীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক নিয়ে। উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৮ জন। আর তাদের পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়টিতে রয়েছেন ৩ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের কাগজে-কলমে দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই, তৃতীয় শ্রেণিতে দুইজন ছাত্রী, চতুর্থ শ্রেণিতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী এবং পঞ্চম শ্রেণিতে দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রী সব মিলিয়ে বিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ৮ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ ও মাদরাসামুখী অভিভাবকদের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগ্রহ কম। কারণ তারা তো মাস গেলে বেতন পাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না আর মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাদরাসায় ভর্তি করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। এসব কারণেই এ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী নাই।
এ ব্যাপারে ৮ জন শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার বলেন, ভৌগলিক অবস্থা ও যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার মান বজায় রেখে এ সমস্যার সমাধান করতে।
সয়না রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু সাইদ বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করার পাশাপাশি বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা আন্তরিক হলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যে বিদ্যালয়ে ২০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের নিকটতম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমন্বয় করা হবে। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি না জেনে কিছু বলতে পারবো না।