অনলাইন সংবাদ-
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন মান্না। বাংলা চলচ্চিত্রের আকশ ছোয়া অভিনেতা ছিলেন তিনি। তার সিনেমা দেখতে ঢল লেগেই থাকত হলে । পর্দায় তার ছবি মানেই ছিলো আনন্দ আর উল্লাস । যদিও আজ তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। মৃত্যুর ১৬ বছর পরও তার স্থান দর্শকদের মনে একই স্থানে আছে । সিনেমা জগতটাকে তিনি যেভাবে উপলব্ধি করেছেন, তা অকপটে বলেও গেছেন। তার সেসব কথা এত বছর পেরিয়ে এখনও সবার কানে বাজে।
এই যেমন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মান্নার ব্যবহৃত দুটি ভিজিটিং কার্ডের ছবি। যার মধ্যে একটি কার্ডে দেখা যাচ্ছে, মান্নার পুরো নাম লেখা- এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। কার্ডে তার পদবি হিসেবে দেওয়া আছে- মুভি স্টার, প্রডিউসার, ও ডিস্ট্রিবিউটর জেনারেল সেক্রেটারি। এছাড়া কার্ডে ঠিকানা হিসেবে আছে কাকরাইলের ঠিকানা। ৯ ডিজিটের একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে সেই কার্ডে। ধারণা করা হয়, ২০০৮ সালে মারা যাওয়ার আগের সময়ের ভিজিটিং কার্ড এটি।
মান্নার অন্য কার্ডটি হালকা ধূসর রঙের। এটি মান্নার ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ের হতে পারে। সে কার্ডে নায়ক শুধুই তার ‘মান্না’নামে। এর নিচেই আছে তার পদবি মুভি স্টার এবং ফিল্ম প্রডিউসার। কার্ডের এক পাশে আছে তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলী কথাচিত্রের নাম ও ঠিকানা এবং আরেক পাশে তার ফোন নম্বর। মোবাইল নম্বর হিসেবে দেওয়া আছে দেশের প্রথম মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিটিসেলের নম্বর।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকার সময় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে অনন্তলোকের পথে পাড়ি জমান মান্না। তার মৃত্যুতে তখন শোকের ছায়া নেমে এসেছিল চলচ্চিত্রাঙ্গনে। সেই শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তার সহকর্মী ও অনুরাগীরা।
মান্না অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘পাগলি’। তবে ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকডের নজরে আসেন মান্না। এরপরই ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন মান্না। কাজী হায়াত নির্মিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনি হয়ে ওঠেন পরিচালক-প্রযোজকদের ভরসার নাম।
মান্নার সকল ছবির মধ্যে আম্মাজান ছবিটি অন্যতম । ঢাকাই এই তারকা চির অমর হয়ে থাকবে আমাদের মাঝে ।